অবাক-কাণ্ড! ফের যকের ধন কলকাতায়, বাবা-ছেলের কাছ থেকে উদ্ধার নগদ ৫০ লক্ষ
ফের যকের ধনের হদিশ মিলল কলকাতায়। রীতিমতো নাটকীয় কায়দায় তা উদ্ধার হল। পোস্তায় দিগম্বর জৈন টেম্পল রোডে বাবা ও ছেলের কাজ থেকে উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ টাকা।
ফের যকের ধনের হদিশ মিলল কলকাতায়। রীতিমতো নাটকীয় কায়দায় তা উদ্ধার হল। পোস্তায় দিগম্বর জৈন টেম্পল রোডে বাবা ও ছেলের কাজ থেকে উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ টাকা। এই ঘটনায় আনোয়ার হোসেন মোল্লা ও মোস্তাকিন মোল্লাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫০ লক্ষ টাকা।
ধৃত আনোয়ার হোসেন মোল্লা ও মোস্তাকিন মোল্লার দাবি, কটন স্ট্রিটের একটি অফিস থেকে টাকাগুলো দেওয়া হয়েছে তাদরে। কিন্তু ওই টাকা কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছেন, তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি বাবা ও ছেলে। এর আগে মালদহের গাজোল ও কালিয়াচক থেকে যকের ধন উদ্ধার হয়। কালিয়াচকে এক পরিযায়ী শ্রমিকের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৩৭ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। ওই টাকার সঙ্গে মাদক কারবারের যোগ রয়েছে বলে জানা যায় পুলিশি তদন্তে।
এদিন গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ আনোয়ার হোসেন মোল্লা ও তার ছেলে মুস্তাকিন মোল্লাকে আটক করে। তারপর তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় টাকা। তারা কোবও বৈধ নথি ছাড়াই নগত ৫০ লক্ষ টাকা বহন করছিল। সেই অভিযোগে উভয়কে গ্রেফতার করা হয়। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, কলকাতার কটন স্ট্রিটে অবস্থিত একটি অফিস থেকে নগদ সংগ্রহ করা হয়েছিল। তারা ক্যারিয়ার হিসেবে কাজ করত। ১০ টাকার নোটের নম্বর নিয়ে টাকা সংগ্রহের জন্য তারা কটন স্ট্রিটে পৌঁছয়।
ধৃত আনোয়ার হোসেন মোল্লা ও তার ছেলে মুস্তাকিন মোল্লাকে সিআরপিসি ৪১ নম্বর ঝারায় গ্রেফতারের পর শনিবার তাদের তোলা হবে লোয়ার ডিভিশন কোর্টে। এই বিষয়ে আয়কর কর্তৃপক্ষকে সম্যক অবহিত করা হয়েছে। এরপর আয়কর দফতরের আধিকারিকরা তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে।
বাংলার বুকে একের পর এক যকের ধন উদ্ধার হয়ে চলেছে। মালদহের গাজোলে এক মাছ ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে দেড় কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছিল। তারপর মালদহেরই কালিয়াচকে এক পরিযায়ী শ্রমিকের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ৩৬ লক্ষ ৯৯ হাজার ৫০০ টাকা। ৫০০ টাকার সেই নোটগুলি ছিল থরে থরে সাজানো। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মহীদুর শেখের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। তারপরই টাকার পাহাড় দেখে চক্ষু ছানা বড়া।
এর আগে প্রাক্তনমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় নগদ ৫০ কোটি টাকা। হাওড়ার পাঁছলায় ঝাড়খণ্জের তিন কংগ্রেস বিধায়কের গাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হয়। গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ী আমির খানের বাড়ি, শিবপুরে পাণ্ডে ব্রাদার্সের গ্যারাজ ও ফ্ল্যাট থেকেও টাকার পাহাড় মেলে। কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ থেকে বাংলাদেশি ২৭ লক্ষ টাকা সমেত এক ভারতীয় ব্যক্তিকে আটক করা হয়।