স্বাধীনতা সংগ্রামী থেকে স্বৈরাচারী শাসক, জিম্বাবোয়ের রবার্ট মুগাবে অধ্যায় মনে রাখবে সারা বিশ্ব
এবছরের নভেম্বরের ২১ তারিখে শত বিরোধিতার জেরে অবশেষে পদত্যাগ করেন তৎকালীন জিম্বাবোয়ে রাষ্ট্রপতি রবার্ট মুগাবে। ছিলেন জনপ্রিয়, শেষে হয়ে ওঠেন স্বৈরাচারী শাসক।
এবছরের নভেম্বরের ২১ তারিখে শত বিরোধিতার জেরে অবশেষে পদত্যাগ করেন তৎকালীন জিম্বাবোয়ে রাষ্ট্রপতি রবার্ট মুগাবে। দেশটি স্বাধীন হওয়ার পর তিনি ছিসেন সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা। তবে ৩৭ বছর একা দেশ শাসন করার পরে মুগাবের চরিত্র পাল্টেছে। জনপ্রিয় থেকে তিনি হয়ে উঠেছেন স্বৈরাচারী শাসক। দেশকে উচ্ছন্নে পাঠিয়েছেন। অর্থনীতির বেহাল দশা করে ছেড়েছেন। যার ফলে কালক্রমে বিদ্রোহী হয়ে ওঠে জনতা। সেনা তাঁকে বাধ্য করে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে।
[আরও পড়ুন:এক কিমকে মেরে নিজের রাজ্যপাট নিশ্চিত করলেন আর এক কিম]
জিম্বাবোয়ে শ্বেতাঙ্গদের হাত থেকে মুক্ত করার ক্ষেত্রে মুগাবে বড় ভূমিকা নেন। কৃষ্ণাঙ্গরা এই দেশের নাম পাল্টে রোডেশিয়া থেকে দেন জিম্বাবোয়ে। মুগাবে প্রায় চারদশক দেশ শাসন করার পরে ক্ষমতা স্ত্রীর হাতে তুলে দিতে চেয়েছিলেন। তবে সেনাবাহিনীর চাপে শেষপর্যন্ত পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
২০১৭ সাল যেমন মুগাবেকে নিয়ে মাতোয়ারা ছিল জিম্বাবোয়ে, তেমনই ২০১৮ সালেও এই দেশটি সারা বিশ্বে চর্চায় থাকবে। সামনের বছর জিম্বাবোয়েতে সাধারণ নির্বাচন। আপাতত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চলছে। আগামিদিনেও মুগাবের দল আফ্রিকান ন্যাশনাল ইউনিয়নই ক্ষমতায় আসতে পারে।
প্রথমজীবনে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করে দেশকে ঔপনিবেশিক শাসন মুক্ত করেন মুগাবে। তবে ক্ষমতায় থাকার কিছু বছরের মধ্যেই জনপ্রিয় মুগাবে হয়ে ওঠেন স্বৈরাচারী। ১৯৮০ সালে নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় এসেছিলেন। প্রথম সাতবছর প্রধানমন্ত্রী থাকার পরে রাষ্ট্রপতি হন। সেই থেকে ক্ষমতা ধরে রাখেন ৩৭ বছর। অবশেষে ৯৩ বছর বয়সে জোর করে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়ে খবরে রইলেন সারা বছর।