চিনা-মার্কিন সম্পর্কের উন্নতির ইঙ্গিত! জি-২০ সম্মেলনে জিনপিংয়ের সঙ্গে হাসিমুখে করমর্দন বাইডেনের
চিনা-মার্কিন সম্পর্কের উন্নতির ইঙ্গিত! জি-২০ সম্মেলনে জিনপিংয়ের সঙ্গে হাসিমুখে করমর্দন বাইডেনের
দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি-২০ সম্মেলনে আমেরিকা ও চিনের প্রেসিডেন্টকে হাসি মুখে করমর্দন করতে দেখা হল। সোমবার জি-২০ সম্মেলনের পাশাপাশি জো বাইডেন ও শি জিনপিং পৃথকভাবে বৈঠক করেন বলে জানা গিয়েছে। দুজনে সংঘাত এড়িয়ে চলার বিষয়ে সহমত পোষণ করেন।
জি-২০ সম্মেলনে বাইডেনের সঙ্গে জিনপিংয়ের বৈঠক
সোমবার ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি-২০ সম্মেলনে শি জিনপিং বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে পৃথকভাবে একটি বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। বৈঠকে চিন ও আমেরিকার মধ্যে কৌশলগত আলোচনা করতে প্রস্তুত। আমেরিকা ও চিনের সম্পর্কের উন্নতির জন্য আলোচনা করতে আগ্রহী। প্রসঙ্গত, আমেরিকার সঙ্গে চিনের সম্পর্কের সম্প্রতি আরও অবনতি হয়েছে। দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কের পাশাপাশি কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে।
চিন ও আমেরিকার অবনতি
চিনের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্কের অবনতির নেপথ্যে একাধিক কারণ রয়েছে। হংকং থেকে তাইওয়ান অথবা চিন সাগরের আধিপত্য থেকে তাইওয়ান প্রণালীতে আগ্রাসী সামরিক মহড়া একাধিক বিষয়ে চিনের সঙ্গে আমেরিকার মতবিরোধ হয়েছে। চিন ও আমেরিকা পরস্পরের ওপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। যার জেরে দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে ক্রমে অবনতি হয়েছে। সম্প্রতি আমেরিকার হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরকে কেন্দ্র করে দুই দেশের উত্তেজনার পারদ চরমে পৌঁছয়।
ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর
ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরকে কেন্দ্র করে চিন ও আমেরিকার মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছয়। চিনের বার বার সতর্কতা সত্ত্বেও মার্কিন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফর করেন। তারপরেই তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায় চিন। তাইওয়ানকে চাপে রাখতে সামরিক মহড়া দেয়। যেখানে তাইওয়ানের আকাশ সীমায় চিন ঢুকে পড়ে। তাইওয়ানের ওপর দিয়ে চিন ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে। তাইওয়ান প্রণালী অবরুদ্ধ করে চিনের নৌবাহিনী মহড়া চালায়। চিনের সামরিক মহড়ার পরে তাইওয়ান প্রণালীতে আমেরিকা যুদ্ধ জাহাজ পাঠায়। ঘটনার জেরে চিন ও আমেরিকার সম্পর্কে অবনতি হয়।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দৃঢ় করতে আগ্রহী
জো বাইডেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে চিন ও মার্কিন রাষ্ট্রপতির পাঁচবার ফোনে কথা হয়েছে। তারমধ্যে বেশ কয়েকবার ভিডিও কলে কথা হয়েছে। ওবামা প্রশাসনের সময় জো বাইডেন ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। সেই সময় জো বাইডেনের সঙ্গে শি জিনপিংয়ের ব্যক্তিগত সাক্ষাৎ হয়েছে। তবে জো বাইডেন ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর প্রথমবারের জন্য দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের ব্যক্তিগত সাক্ষাৎ হয়। হোয়াইট হাউসের তরফে জো বাইডেন ও শি জিনপিংয়ের বৈঠকের বিবৃতি প্রকাশ করার পরেই বেজিংয়ের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়, আমেরিকা চিনের সঙ্গে সুম্পর্ক রাখতে আগ্রহী। জিনপিংয়ের সঙ্গে বাইডেনের বৈঠকে দুই দেশের মধ্যেকার উত্তেজনা প্রশমনের পথ বেরিয়ে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আমেরিকার মধ্যবর্তী নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দিল মার্কিন তরুণরা, পছন্দের তালিকায় শীর্ষে বাইডেন