এখনও রাস্তা খোলা ভারতের, আসিয়ান গোষ্ঠীর হাত ধরেই স্বাক্ষর হচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি
এখনও রাস্তা খোলা ভারতের, আসিয়ান গোষ্ঠীর হাত ধরেই স্বাক্ষর হচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির জোট আসিয়ানের চলতি শীর্ষ বৈঠকের শেষদিনে যে বড়সড় কিছু ঘটতে চলেছে তার ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল। অবশেষে সব জল্পনা সত্যি করে রবিবারই আসিয়ান গোষ্ঠীর হাত ধরেই হতে চলেছে এশিয়ার বৃহত্তম বাণিজ্য অভ্যুত্থান। স্বাক্ষরিত হতে চলেছে রিজিওনাল কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ বা আরসিইপি চুক্তি।
বিশ্বের বৃহত্তম বাণিজ্যিক গোষ্ঠী হিসাবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে আরসিইপি
বিশেষজ্ঞদের ধারণা এই চুক্তির সঠিক বাস্তবায়ন সম্ভব হলে করোনাকালীন মন্দার গ্রাস থেকে দ্রুত নিজেদের সারিয়ে তুলতে পারবে দক্ষিণ এশীয় দেশগুলি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গোটা বিশ্বের মোট জিডিপির ৩০ শতাংশেরও বেশি অবদান রয়েছে এই ১০টি দেশের। এখনও তাদের মধ্যে এই মুক্ত বাণিজ্যচুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার ফলে আরও বেশ কিছু নতুন সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
আসিয়ান জোটের ১০টি দেশ ছাড়াও থাকছে আরও ৫ শক্তিধর দেশ
এদিকে আসিয়ান জোটের ১০টি দেশ ছাড়াও এই চুক্তিতে সই করতে চলেছে চিন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড। এই মহূর্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-কানাডা বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহ বিশ্বের যে সমস্ত গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির মধ্যে অবাধ বাণিজ্য চুক্তি রয়েছে তাদের সবার থেকে নতুন এই চুক্তিবদ্ধ দেশগুলির বাণিজ্যিক আকার সবচেয়ে বড় বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
বদল আসতে পারে বিশ্ব বাণিজ্যর ভারসাম্যেও
এই চুক্তি অদূর ভবিষ্যতে বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থার ভারসাম্য অনেকাংশে বদলে দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। এমনকী এই বাণিজ্য চুক্তির ভৌগোলিক ও অর্থনৈতিক পরিসর চমকে দেওয়ার মতো। আগামী ২০ বছরে নিজেদের মধ্যে আমদানিতে বিভিন্ন প্রকারের শুল্ক উঠিয়ে দেওয়া মূল লক্ষ্য আরসিইপি চুক্তিবদ্ধ দেশগুলির।
চুক্তির রাস্তা থেকে কেন সরে আসে ভারত?
অন্যদিকে আগের বছর থেকেই আরসিইপি চুক্তি সম্পর্কিত প্রাথমিক আলোচনায় অংশ নিয়েছিল ভারত। কিন্তু চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত হলে শুল্ক কমাতে হবে এবং তাতে স্থানীয় উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হবে এমনকী সস্তা চিনা পণ্য দেশীয় বাজার ছেয়ে যাওয়ার ভয়ে চুকতিবদ্ধ হতে রাজি হয়নি ভারত। যদিও এখনও ভারতের জন্য রাস্তা খোলা রয়েছে বলেও আসিয়ান গোষ্ঠী সূত্রে খবর। এদিকে টেলিযোগাযোগ, আর্থিক পরিষেসেবা, ই-কমার্স ও অন্যান্য পেশাদারি ক্ষেত্রেও একাধিক বিষয়ে চুক্তিবদ্ধ দেশগুলি আগামীতে নিজেদের মধ্যে অবাধ বাণিজ্যের অধিকার পেতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে।
তৃণমূলে এখন মানভঞ্জনের পালা, জঞ্জাল সরিয়ে বাংলায় সুশাসন আনার বার্তা দিলীপের