করোনাকে হারাতে আক্রমণাত্মক হওয়ার বার্তা WHO প্রধানের, টানলেন ফুটবল ম্যাচের উদাহরণ!
সারা বিশ্ব জুড়ে করোনার থাবায় প্রতিদিন প্রাণহানী হচ্ছে অভাবনীয় হারে। এই পরিস্থিতিতে প্রায় সব দেশই আইসোলেশন ও কোয়ারান্টাইনের মাধ্যমে এই ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে সচেষ্ট হয়েছে। তবে বর্তমান পরিস্থিতে করোনা ভাইরাসকে ঠেকাতে আক্রমণাত্মক হওয়ার বার্তা দিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রস অ্যাঢানম গেব্রিয়ুস।
গত চার দিনে লক্ষাধিক করোনা পজিটিভ কেস
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের বিষয়ে এদিন হু-র প্রধান বলেন, 'করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১ থেকে ১ লক্ষে পৌঁছাতে ৬৭ দিন সময় লেগেছে। দ্বিতীয় এক লাখ আক্রান্ত হতে সময় লেগেছে ১১ দিন। কিন্তু তৃতীয় এক লাখ আক্রান্ত হতে সময় লেগেছে মাত্র ৪ দিন।'
করোনার জেরে মৃত্যু মিছিল জারি ইউরোপে
করোনা ভাইরাসের আঘাতে ইতালি, স্পেন, ইরানে মৃত্যুর মিছিল থামছেই না। ইতালিতে একদিনেই মারা গেছে ৬০১ জন। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৪ হাজার ৭৮৯ জন। ইতালিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৭৭ জন মানুষ। স্পেনেও একদিনে মারা গেছে ৪৩৫ জন মানুষ। একদিনেই আক্রান্ত হয়েছে ৪ হাজার ৩২১ জন। দেশটিতে মোট মারা গেছে ২ হাজার ২০৭ জান। ইরানে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ৪১১ জন। একদিনে মারা গেছে ১২৭ জন।
করোনা মোকাবিলায় ফুটবল ম্যাচের উদাহরণ
এই পরিস্থিতিতে ফুটবল ম্যাচের উদাহরণ টেনে হু প্রধান বলেন, 'এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে অবশ্যই আমাদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বাড়িতে থাকতে হবে। তবে শুধুমাত্র রক্ষাণাত্মক মনভাবে এই ভাইরাসের মোকাবিলা করা সম্ভব নয় এর জন্য চাই আক্রমণাত্মক মনভাব।'
সামজিক দূরত্ব বজায় রেখে করোনা ঠেকানো সম্ভব নয়
এদিকে জনতা কার্ফু বা সামজিক দূরত্ব করে করোনা ভাইরাসের চেন সংক্রমণ রোধ করা যাবে না। এতে হয়তো সংক্রমণের সংখ্যা কমবে কিন্তু চেন সংক্রমণ একেবারেই বন্ধ হবে না এমনই দাবি করেছে হু-এর বিশেষজ্ঞরা।