চিনের ধমক, নাকি ব্যবসায়িক প্রতিশ্রুতি! কোন শর্তে পাকিস্তানে ফিরল টিকটক?
টিকটকে আপলোড হওয়া বিভিন্ন ভিডিও এবং কনটেন্ট নিয়ে তীব্র আপত্তি জানানো হয়েছিল পাকিস্তানের বিভিন্ন স্তরে। এবং এই বিষয়টি নিয়ে পাকিস্তানের কট্টরপন্থী রাজনীতিবিদরাও চাপ বাড়াচ্ছিল ইমরান খানের প্রশাসনের উপর। এহেন অবস্থায় বাধ্য হয়ে গত সপ্তাহে টিকটককে নিষিদ্ধ করার ঘোষণা করে ইমরান খানের সরকার। তবে সেই ঘোষণার ১০ দিনের মাথায় ফের পাকিস্তানে স্বমহিমায় ফিরে আসে টিকটক।
টিকটক নিয়ে পাকিস্তানের আপত্তি
আপত্তিকর কনটেন্ট নিয়ে পাকিস্তানের আপত্তি অবশ্য প্রথম থেকেই অস্বীকার করে এসেছিল টিকটক। তবে ইমরান খানের সরকার চিনা এই ভিডিও অ্যাপটি নিষিদ্ধ করে দেওয়াতে বেজিংয়ের মাথায় হাত পড়ে। এরপরই চিনের তরফে পাল্টা চাপ সৃষ্টি করা হয় পাকিস্তানের উপর।
১৭ অক্টোবর পাকিস্তান সরকারের কাছে টিকটকের আবেদন
এই আবহেই টিকটক ১৭ অক্টোবর পাকিস্তান সরকারের কাছে টিকটক ফের পাকিস্তানে ভিডিও অ্যাপটি চালু করার আবেদন জানায়। সেই আবদনের দুই দিনের মাথাতেই টিটককে ফের সবুজ সংকেত দিয়ে দেয় পাকিস্তান। টিকটকের দাবি, ২০১৯ সালের দ্বিতীয়ভাগে 'আপত্তিকর' ৩৭ লক্ষ ভিডিও তারা পাকিস্তানের টিকটক প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়েছে।
পাকিস্তানে টিকটক অ্যাপটি ব্যবহার করে আড়াই কোটি মানুষ
জানা গিয়েছে পাকিস্তানে টিকটক অ্যাপটি ব্যবহার করে আড়াই কোটি মানুষ। তাঁদের মধ্যে ৬৮ শতাংশ মহিলা। ৯৬ শতাংশই অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারী। পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশন মন্ত্রকের তরফে জনপ্রিয় এই ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পরই অবশ্য জল্পনা শুরু হয় এর নেপথ্যে থাকা কারণের খোঁজে।
কী বলছে পাকিস্তান?
এই বিষয়ে পাকিস্তানের তরফে বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট শর্তে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। বারবার অশ্লীল ও অনৈতিক কনটেন্ট পোস্ট করা হলে সেই অ্যাকাউন্টগুলি ব্লক করে দেওয়া হবে বলে টিকটিক কর্তৃপক্ষের তরফে আশ্বাস দেওয়ার পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও পাকিস্তানে আরও বিনিয়োগেরও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে টিকটকের তরফে। সেই আশ্বাসের ভিত্তিতেই নাকি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই উঠল নিষেধাজ্ঞা।
বেজিংয়ের ধমকেই পিছু হটেছে ইসলামাবাদ?
তবে বিশেষজ্ঞদের মত, বেজিংয়ের ধমকেই পিছু হটেছে ইসলামাবাদ। এর আগে টিকটক নিষিদ্ধ করার ইমরান খানের ঘোষণা চিনের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এতে চিনের ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়াতে ইমরান খানের উপর চাপ সৃষ্টি করতে শুরু বেজিং। মূলত চিন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর নিয়ে চাপ তৈরি করা হয় পাকিস্তানের উপর।
কাশ্মীর নিয়ে 'বিশেষ ছক' কষছে ইসলামাবাদ! জইশ, লস্কর, হিজবুলকে মদত দিচ্ছে ISI