মুসলিমদের থেকে হিন্দুরা বেশি আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, ইমরানের দাবিতে চাঞ্চল্য
মুসলিমরা না হিন্দুরাই সবচেয়ে বেশি আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এমনই চাঞ্চল্যকর বয়ান দিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এদিন পার্লামেন্টে ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান-এর মুক্তি
মুসলিমরা না হিন্দুরাই সবচেয়ে বেশি আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এমনই চাঞ্চল্যকর বয়ান দিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এদিন পার্লামেন্টে ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান-এর মুক্তি নিয়ে কথা বলছিলেন তিনি। ঘোষণা করেন শুক্রবারই অভিনন্দনকে ছেড়ে দেওয়া হবে। এই প্রসঙ্গেই তিনি টেনে আনেন আত্মঘাতী বিস্ফোরণের কথা। আর সেখানেই এমন একটি চাঞ্চল্য ফেলে দেওয়া মন্তব্য করেন ইমরান।
জানা গিয়েছে, আত্মঘাতী বিস্ফোরণ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী জানান, 'ধর্মের কারণে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ৯/১১-র আগে কখনও ঘটেনি। সবচেয়ে বেশি আত্মঘাতী বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটিয়েছে লিবারেশন অফ তামিল টাইগার এলম বা এলটিটিই, যারা আবার হিন্দু, কিন্তু ধর্মীয় কারণে নয় তারা এমনটা করেছিল হতাশা ও দুর্দশায়।'
Suicide attacks don't happen because of religion - before 9/11, the highest number of suicide attacks were carried out by the Tamil Tigers & they are Hindus - but it was not because of their religion but were borne out of frustration and despair: Pak PM Imran Khan
— omar r quraishi (@omar_quraishi) February 28, 2019
ইমরান খানের এমন মন্তব্য স্বাভাবিকভাবেই তামিল ভাবাবেগকে আঘাত করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আত্মঘাতী বিস্ফোরণ-এ মুসলিম ও হিন্দু তুলনা টানাতেও ইমরান খানের এক কৌশল রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, আত্মঘাতী বিস্ফোরণের সঙ্গে ইসলামিক সন্ত্রাসের নাম ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। বিশেষ করে গত দুই দশকে বিশ্বের নানাপ্রান্তে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে বারবার মৌলবাদী ইসলামিক সন্ত্রাসের সংযোগ পাওয়া গিয়েছে।
ভারতেও নানা সময়ে সন্ত্রাসে এই আত্মঘাতী বিস্ফোরণ করে হামলা চালিয়েছে মৌলবাদী ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনগুলি। পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে আত্মঘাতী হামলায় যে জঙ্গি ক্যারিয়ার হিসাবে কাজ করেছে সেও একজন মুসলিম। স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বজুড়ে মৌলমাদী ইসলামিক শক্তি-র জন্য আজ পাকিস্তানের দিকে আঙুল উঠেছে। এরসঙ্গে জড়িত হয়েছে জইশ-ই-মহম্মদের নাম।
কূটনীতিক মহলের মতে, নিজেদের উপর থেকে নজর ঘোরানোর একটা অচল সিক্কা-কেই হাতিয়ার করতে চেয়েছেন ইমরান। এলটিটিই আত্মঘাতি বিস্ফোরণে মানববোমা ব্যবহার করত। এই মানববোমার শরীরে বিস্ফোরক লাগানো থাকত। নিশানার কাছে গিয়ে সেই মানববোমা বিস্ফোরকের ট্রিগার দাবাতো। কিন্তু, শ্রীলঙ্কা সরকারের নাছোড় লড়াইয়ে এলটিটিই সংগঠনের প্রধান প্রভাকরণের মৃত্যু হয়েছে। এরপর থেকে মাজাই ভেঙে গিয়েছে এলটিটিই-এর। দূরবিন দিয়েও এখন জাফনার কোথাও এলটিটিই-দের টিকি-ই পাওয়া যায় না।
[আরও পড়ুন: অভিনন্দনকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে কী দাবি ইমরান খানের ]