এই কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে গেল ব্রিটেন!
লন্ডন, ২৪ জুন : ইউরোপীয় ইউনিয়নে ব্রিটেন থাকবে কিনা তা নিয়ে ইতিমধ্যে ভোটের ফলাফল বেরিয়ে গিয়েছে। ৫১.৯ শতাংশ ব্রিটেনবাসী চাইছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের থেকে বেরিয়ে স্বাধীনভাবে নিজেদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করুক ব্রিটেন সরকার।
'ইউরোপীয় ইউনিয়নে ব্রিটেনের থাকা উচিত নাকি বেরিয়ে যাওয়া উচিত?', এই প্রশ্ন করে একসঙ্গে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, ওয়েলস ও স্কটল্যান্ডে। তার ফলাফল বেরিয়েছে এদিন। এই গোটা গণভোটের প্রক্রিয়াটির পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে 'ব্রেক্সিট'। এটি একটি সংযুক্ত শব্দ যার মধ্যে রয়েছে 'ব্রিটেন' ও 'এক্সিট' শব্দটি। দুটি মিলিয়ে হয়েছে ব্রেক্সিট।
কিন্তু কেন ইউরোপীয় ইউনিয়নে না থাকার পক্ষে রায় দিল ব্রিটেনবাসী। কী কী কারণ রয়েছে এর পিছনে? এর পিছনে রাজনৈতিক কারণের চেয়েও বেশি অর্থনৈতিক কারণ রয়েছে।
ব্রিটেনের ইন্ডিপেন্ডেন্স পার্টি ব্রেক্সিটের হয়ে সর্বপ্রথম প্রচারে নামে। তাদের সমর্থন জানান কনজারভেটিভ পার্টির অর্ধেকেরও বেশি সাংসদ, কয়েকজন মন্ত্রী ও লেবার পার্টিরও বেশ কয়েকজন সাংসদ।
ইন্ডিপেন্ডেন্স পার্টির বক্তব্য ছিল, ইউরোপীয় ইউনিয়নে থেকে ব্রিটেনের ক্ষতি হচ্ছে। ব্যবসার ক্ষেত্রে বড্ড বেশি বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। অথচ বছরের শেষে কয়েকশো কোটি পাউন্ড সদস্য রাষ্ট্র হিসাবে ব্রিটেনকে জমা দিতে হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নে। বদলে সেভাবে কিছুই লাভ হচ্ছে না ব্রিটেনের।
এর পাশাপাশি ইউনিয়নের সদস্য হওয়ায় নিজের দেশের সীমান্তের উপরেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারছে না ব্রিটেন। ফলে প্রতিবছর শরণার্থীদের ভিড়ে প্রবল চাপ পড়ছে ব্রিটেনের মানুষের উপরে। তাঁদের অর্থনীতির, জীবন-জীবিকা এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলির বাসিন্দারা কোনও ভিসা ছাড়াই অন্য দেশে যেতে পারেন ও থাকতে পারেন। এতে সবচেয়ে সমস্যায় পড়ছিল ব্রিটেন। সব দেশ থেকে মানুষ এতে ব্রিটেনে ভিড় করছিল। যা দেশের অর্থনীতির জন্য শুভ নয়। এইসব দাবি তুলেই ব্রিটেনে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।