Ukraine-Russia Conflict: রাশিয়াকে হুঁশিয়ারি দিয়ে, বাল্টিক রাষ্ট্রগুলিতে এফ-৩৫এস যুদ্ধ বিমান পাঠাচ্ছে আমেরিকা
রাশিয়াকে হুঁশিয়ারি দিয়ে, বাল্টিক রাষ্ট্রগুলিতে এফ-৩৫এস যুদ্ধ বিমান পাঠাচ্ছে আমেরিকা
ইউক্রেনে বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার পর রাশিয়াকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। জো বাইডেন বলেছিলেন মিত্র শক্তিগুলির সঙ্গে এক হয়ে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়াবে আমেরিকা৷ কিন্তু যুদ্ধের প্রথম ২৪ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও এখনও পর্যন্ত সেরকম কোনও পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি আমেরিকাকে৷ তবে এবার এস্তোনিয়া, লিথুয়ানিয়া এবং রোমানিয়াতে এফ-৩৫এস যুদ্ধবিমান পাঠাতে চলেছে আমেরিকা! ওয়াশিলটন পোস্টের সামরিক সংবাদদাতা ড্যান ল্যামোথ টুইট করে এরকমই জানিয়েছেন৷
বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে রাশিয়া। এরপরই বিশ্বজুড়ে রাশিয়সকে অর্থনৈতিকভাবে কোনঠাসা করার চেষ্টা চালাচ্ছে আমেরিকা৷ বাইডেন প্রসাশন রাশিয়ান সরকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা বলেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দেশে ও মিত্রশক্তির নেতাদের নিয়ে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পর বলেন যে রাশিয়ার যুদ্ধ করার ক্ষমতাকে পঙ্গু করার জন্য প্রতিটি পদক্ষেপ নেবে আমেরিকা। তিনি বলেন, রাশিয়ার বিশ্ব অর্থনীতির অংশ হওয়ার ক্ষমতা সীমিত করব আমরা। তাদের অর্থের যোগান এবং সামরিক বাহিনী বৃদ্ধির ক্ষমতাকে থামিয়ে দেওয়া হবে। আমরা একটি উচ্চ প্রযুক্তির সাহায্যে ২১ শতকের অর্থনীতিতে রাশিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেব। জি-৭ এর সমকক্ষদের সঙ্গে দেখা করার পরে একটি টুইট বার্তায় এসব জানিয়েছেন বাইডেন। যদিও এখনও পর্যন্ত রাশিয়ার বৃহত্তম আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সবারব্যাঙ্ককে মার্কিন আর্থিক ব্যবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাশিয়ান ব্যাংকগুলিকে অবরুদ্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে আমেরিকা। রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ভিটিবি ব্যাংক এবং তিনটি প্রধান রাশিয়ান আর্থিক প্রতিষ্ঠান - ব্যাংক ওটক্রিটি, সোভকমব্যাঙ্ক ওজেএসসি এবং নোভিকমব্যাঙ্ক সম্পূর্ণরূপে অবরুদ্ধ করা হয়েছে। রাশিয়ার অভিজাত পরিবারের সদস্যরাও আমেরিকার এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসবে বলে মনে করা হচ্ছে৷
যদিও সুইফট ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা থেকে রাশিয়াকে বাদ দেওয়ার বিষয়ে ইউরোপীয় মিত্রদের মধ্যে ঐকমত্য তৈরি হয়নি৷ যা এখনও ইউক্রেনকে উদ্বিগ্ন করে রেখেছে৷ অন্যদিকে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসও এক টুইট বার্তায় ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের নিন্দা করেছেন। তিনি টুইটারে পোস্ট করেছেন, আমরা আমাদের মিত্র এবং বিশ্বজুড়ে আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাব। আমরা এই বিষয়ে আমাদের অবস্থানে এবং ইউক্রেনের উপর এই অযৌক্তিক, উস্কানিবিহীন আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় একত্রিত রয়েছি।
মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিনও তার ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা সচিবকে ওলেক্সি রেজনিকভকে আশ্বস্ত করেছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে প্রতিরক্ষামূলক সহায়তা বাড়াবে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন তোপ দেগেছেন যে ইউক্রেন আক্রমণ করার পর রাশিয়া একটি 'রক্তাক্ত জটিল অবস্থার' মধ্যে পড়বে। ব্লিঙ্কেন আরও বলেছেন যে এই যুদ্ধমএকটি দীর্ঘমেয়াদি খেলায় পরিনত হবে এবং রাশিয়া এই খেলাটি খেলতে ইচ্ছুক যা সমগ্র জাতিকে একটি রক্তাক্ত জটিল সমস্যাময় সময় উপহার দেবে৷
যুদ্ধ কতক্ষণ চলতে পারে সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, ব্লিঙ্কেন সংবাদ সংস্থা সিএনএনকে বলেন, যে এটি সম্পূর্ণরূপে ইউক্রেনের জনগণের উপর নির্ভর করে। তাঁরা কি নিজেদেরকে একটি অন্যদেশের সরকারের ক্রীড়নকে পরিনত হতে দেবে? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে এই মন্তব্যটি এমন উদ্বেগও প্রতিফলিত করে যে রাশিয়ার এই আক্রমণ কিয়েভে একটি রাশিয়ানপন্থী সরকার স্থাপন করতে পারে। বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার পর পুতিন বলেছিলেন যে তাঁর ইউক্রেন দখল করার কোন ইচ্ছা নেই।