উন্নয়নশীল দেশে পরিবার পরিকল্পনা করুন মহিলারাই, বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে বার্তা
পরিবার পরিকল্পনা শুধু মানবাধিকারের বিষয় নয়। মহিলাদের ক্ষমতায়ন, দারিদ্র্য হ্রাস এবং স্থায়ী উন্নয়ন অর্জনের মূলেও মুখ্য ভূমিকা নিতে পারে পরিবার পরিকল্পনা। বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে এই বার্তাই দিলেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের জনসংখ্যা তহবিল বা ইউএনএফপিএ-এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর নাতালিয়া কানেম। উন্নয়নশীল দেশগুলিতে বহু মহিলাই এখনও পরিবার পরিকল্পনার সুযোগ পান না। কিন্তু আগামী একক দশকের মধ্যেই এই অভাব পূরণের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।

১৯৮৭ সালের ১১ জুলাই তারিখেই বিশ্বের মোট জনসংখ্যা ৫ বিলিয়ন অর্থাত ৫০০ কোটিতে পৌঁছে গিয়েছিল। দিনটিকে স্মরণে রাখতে সেই থেকে ১১ জুলাই বিশঅব জনসংখ্যা দিবস পালন করা হয়। পৃথিবীতে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার কী প্রভাব পড়ছে তাই নিয়েই মূলত আলোচনা-পর্যালোচনা হয় এই দিনটিতে।
জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা যায় পরিবার পরিকল্পনার মাধ্যমে। প্রায় ৫০ বছর আগে রাষ্ট্রসঙ্ঘ পরিবার পরিকল্পনাকে মানবাধিকারের স্বীকৃতি দিয়েছিল। কিন্তু ইউএনএফপিএ-এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জানান, এখনও উন্নয়নশীল দেশগুলির ২১৪ মিলিয়ন অর্থাত প্রায় ২১ কোটি ৪০ লক্ষ মহিলা পরিবার পরিকল্পনার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। এঁদের একাংশের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য বা পরিষেবা নেই, আবার আরেক অংশের ক্ষেত্রে পারিবারিক বা সামাজিক বাধা সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।
এতে করে তাঁদের নিজেদের, পরিবারের বা সমাজের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সম্ভাবনাই নষ্ট হয় বলে মত দেন নাতালিয়া কানেম। ২০৩০ সালের মধ্যেই লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়ে, আধুনিক নিরোধের জোগান দিয়ে, এবং বিভিন্ন দেশের জাতীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটিয়ে এই ঘাটতি পূরণ করতে চাইছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ।
তাঁদের একক প্রচেষ্টায় অবশ্য সবটা হওয়া সম্ভব নয় বলে মেনে নিয়েছেন নাতালিয়া। তিনি বিভিন্ন দেশের সরকার, প্রশাসন ও সাধারণ মানুষকে পাশে চেয়েছেন। সেইসঙ্গে তাঁদের তহবিল ভরাতেও সাধারণ মানুষের সাহায্য প্রার্থনা করেছেন ইউএনএফপিএ-এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর। তিনি জানিয়েছেন, উন্নত দেশ গুলির প্রত্যেকে যদি বছরে ২০ সেন্ট বা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৩ টাকা করে দেয়, তাহলেই এই তাঁদের তহবিল ঘাটতি মিটে যাবে।