করোনা সংকটের মাঝেই ঋণের বোঝায় জর্জরিত গরীব দেশ গুলি, বলছে জাতিসংঘ
করোনা আতঙ্কে যখন দেশগুলি অর্থনীতির সাথে যুঝছে, তারই মাঝে আর্থিক ঋণের দায়ে চরম বিপদের সম্মুখীন বিশ্বের গরিব দেশগুলি, এমনটাই খবর জাতিসংঘের একটি রিপোর্টে।
কি বলছে জাতিসংঘের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স?
জাতিসংঘের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স দেশগুলির প্রশাসনকে কিছু পদক্ষেপের মাধ্যমে ঋণের অতিরিক্ত বোঝা ও অর্থনৈতিক ভাঙন রুখতে নির্দেশ দিয়েছে। জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল আমিনা মহম্মদ জানিয়েছেন যে, প্রচেষ্টা ও দারিদ্রের মাপকাঠির মধ্যে অসামঞ্জস্যকে রুখতে হলে সবাইকে এক হতে হবে। ৬০-এর বেশি রাষ্ট্রপুঞ্জের অধীন সংস্থা ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা একত্রে এই আর্থিক ক্ষতির ঢেউ সামলাতে রিপোর্ট পেশ করেছে। চলতি অর্থবর্ষে রেকর্ড ৯০বিলিয়ন মার্কিন ডলার লগ্নিকারীরা তুলে নেওয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলি আর্থিক ঋণের চ্যালেঞ্জের মুখে।
ঘনবসতিপূর্ণ উন্নয়নশীল দেশগুলি আর্থিক দেনায় স্তব্ধ
রাষ্ট্রপুঞ্জের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যান্টোনীও গিওটেরেসের মতে, "রাষ্ট্রপুঞ্জের এই মুহূর্তে যা অবস্থা তাতে ঘনবসতিপূর্ণ গরিব দেশগুলির সংক্রমণ রুখতে ও আর্থিক ক্ষতি সামাল দেওয়ার মত প্যাকেজ ঘোষণা সম্ভব নয়।" 'কোভিড-১৯-এর সামাজিক-আর্থিক প্রভাব' শীর্ষক একটি রিপোর্টে গিওটেরেস জানান, "করোনা হামলা থেকে বাঁচতে জরুরি অবস্থার ভিত্তিতে উন্নয়নের পথ বাতলাতে হবে ও বিশ্ব-অর্থনীতিকে ভবিষ্যত ধাক্কার জন্য প্রস্তুত করতে হবে।"
বিশ্বের উন্নত দেশগুলোকে একজোট হওয়ার আহ্বান
জাতিসংঘের উক্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, গরিব দেশগুলিকে আর্থিক ঋণের বোঝা থেকে বাঁচিয়ে বিশ্ব-অর্থনীতির সুনিশ্চিত উন্নতি করতে হলে পরিকাঠামোয় লগ্নি, বিধিনিষেধ আরোপ, অর্থনৈতিক নিয়মাবলীর উন্নতি ও ঋণজনিত আন্তর্জাতিক নিয়মাবলীর বদল দরকার। গরিব দেশগুলির ঋণের পরিমাণ মাথায় রেখে নিয়ম-কাঠামোয় বদলের কথা ভাবছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
লকডাউনে অর্থনীতি, ত্রাতা 'ডিজিটাল মার্কেটিং
অর্থনীতির বেহাল দশা নিয়ে গবেষণার সময়ে কঠিন পরিস্থিতি ও ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে তথ্যপ্রযুক্তিকে হাতিয়ার করার কথা ভাবছেন রাষ্ট্রসংঘের গবেষককরা। লকডাউনের আবহে মানুষকে সংঘবদ্ধ রেখেছে একমাত্র অনলাইন প্রযুক্তি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ব্যবসা-বাণিজ্য চলছে সমানতালে, তাই ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের উপর জোর দিতে চাইছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। যদিও অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া দেশগুলিতে স্টার্ট-আপ বা শ্রমিক শ্রেণীর মানুষদের ক্ষেত্রে 'ডিজিটাল মার্কেটিং' কতটা কার্যকর, তা বলা কঠিন। জাতীপুঞ্জের এক আধিকারিক লিউ ঝেনমিন এই কঠিন সময়ে সকল দেশকে একে-অপরের মধ্যে সামাজিক ও আর্থিক সমঝোতার কথা বলেছেন।