দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবথেকে সংকটময় পরিস্থিতি, করোনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ রাষ্ট্রসংঘের
সারাবিশ্বে মুহূর্তের নিমিষে বাড়ছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা। ৪২ হাজার পেরিয়েছে মৃত্যুর সংখ্যা। ইতিমধ্যেই করোনার কোপে মোট মৃত্যু হয়েছে ৪২ হাজার ৩২২ জনের। আক্রান্তের সংখ্যা ৮ লক্ষ ৫৯ হাজার ৩২ জন। এখনও অসুস্থ রয়েছেন ৬ লক্ষ ৩৮ হাজার ৬০৯ জন।

ইতালিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১,০৫,৭৯২
এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ইতালিতে। করোনার কোপে ক্রমশ মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে ইউরোপের দেশটি। মারা গেছেন ১২ হাজার ৪২৮ জন। চিনের মৃত্যু সংখ্যা থেকে ইতালির মৃত্যু সংখ্যা তিনগুণের থেকেও বেশি। আর ইতালিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১,০৫,৭৯২।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সব থেকে সংকটজনক পরিস্থিতি
এই পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সব থেকে সংকটজনক পরিস্থিতি বলে আখ্যা দিলেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তনিয়ো গুতেরেস। আর এই মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়ার ডাক দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি আশঙ্ক প্রকাশ করে তিনি বলেন, 'এই রোগ ও এর আর্থিক প্রভাবের মিলিত কারণে বাড়বে অস্থিরতা, দ্বন্দ্ব।'

রাজনীতি ভুলে সবাইকে একজোট হতে হবে
এই বিষয়ে গুতেরেস বলেন, 'রাজনীতি ভুলে সবাই একজোট হয়ে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালে তবেই সাফল্য আসবে। আমরা একটা নিদারুণ সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। গত ৭৫ বছরের এমন স্বাস্থ্য সংকটে পড়তে হয়নি, যেখানে মানুষ মারা যাচ্ছে। মানুষের দুর্দশা বাড়ছে।'

আমেরিকাতে সংক্রমিতের সংখ্যাটা ১ লক্ষ ৮৮ হাজার
এদিকে আমেরিকাতে সংক্রমিতের সংখ্যাটা ১ লক্ষ ৮৮ হাজার ৫৭৮ জন। সেখানে ক্রমেই বেড়ে চলেছে সংক্রমিতের সংখ্যা। তবে সেই অনুপাতে আমেরিকাতে অবশ্য মৃতের সংখ্যা কম হওয়ায় আপাতত স্বস্তি। তবে আক্রান্তের সংখ্যা লাগাম ছাড়া হারে বাড়তে থাকলে তা আটকানো কঠিন হবে।

স্পেন, ইরান, ফ্রান্সে খারাপ পরিস্থিতি
স্পেনেও মৃত্যু হয়েছে বহু লোকের। ইতিমধ্যেই চিনের মৃতের সংখ্যা থেকে দুই গুণ হয়েছে। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৯৫ হাজার ৯২৩ এবং মৃত্যু হয়েছে ৮৪৬৪ জনের। এছাড়া ফ্রান্স, ইরানে ও ব্রিটেনেও কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ফ্রান্সে মারা গিয়েছে ৩৫২৩ জন, ইরানে মারা গিয়েছে ২৮৯৮ জন, ব্রিটেনে মারা গিয়েছে ১৭৮৯ জন।