For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ: নেটোয় যোগ দিতে চায় ফিনল্যান্ড-সুইডেন, কী ঘটতে পারে

  • By Bbc Bengali

বহু বছর নিরপেক্ষ অবস্থান ধরে রাখার পর অবশেষে স্ক্যান্ডিনেভিয়া দেশ সুইডেন ও ফিনল্যান্ডে নেটোতে যোগ দেয়ার পক্ষে জনমত জোরালো হয়ে উঠেছে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সারা পৃথিবী যখন স্নায়ুযুদ্ধে বিভক্ত হয়ে পড়েছিল, তখনো নিজেদের নিরপেক্ষ অবস্থান ধরে রেখেছিল উত্তর ইউরোপের এই দুটি দেশ। কোন সামরিক জোটে তারা যোগ দেয়নি।

কিন্তু ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর সেই পরিস্থিতির বদল হয়েছে। যদিও যুদ্ধ নেটোর পূর্ব সীমান্তে হচ্ছে, কিন্তু ইউরোপের যেসব দেশ নেটোর সদস্য হয়নি, তাদের মধ্যও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে যে, তারাও রাশিয়ার আক্রমণের শিকার হতে পারে।

ফলে এর মধ্যেই ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী এর মধ্যেই নেটোতে যোগ দেয়ার আগ্রহের কথা জানিয়ে দিয়েছেন।

রবিবার এরকম ঘোষণা দিতে পারে আরেক প্রতিবেশী দেশ সুইডেন। সেটা হলে দুশো বছরের জোট নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে সরে আসবে সুইডেন।

কিন্তু কেন বহু বছরের নিরপেক্ষতার নীতি থেকে সরে নেটোয় যোগ দেয়ার কথা ভাবছে উত্তর ইউরোপের দেশ ফিনল্যান্ড ও সুইডেন?

নেটো কী?

নেটো- নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন হচ্ছে একটি সামরিক জোট। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১২টি দেশ মিলে এই জোট গঠিত হয়, যার মধ্যে ছিল যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স।

নেটোর কোন সদস্য আক্রমণের শিকার হলে অন্য সদস্য দেশগুলো তার সাহায্যে এগিয়ে আসবে।

এই জোট মূলত তৈরি হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে রাশিয়ার বিস্তার ঠেকানোর উদ্দেশ্যে।

সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী ম্যাগদালেনা অ্যান্ডারসন এবং ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন
EPA
সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী ম্যাগদালেনা অ্যান্ডারসন এবং ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন

নেটোর পাল্টা ব্যবস্থা হিসাবে পূর্ব-ইউরোপের বামপন্থী দেশগুলোকে নিয়ে ১৯৫৫ সালে নিজস্ব আরেকটি সামরিক জোট গঠন করে সোভিয়েত রাশিয়া, ওয়ারশ প্যাক্ট নামে যা পরিচিত।

সোভিয়েত ইউনিয়নের ১৯৯১ সালে পতনের পর ওয়ারশ প্যাক্টের সাবেক সদস্য বেশ কয়েকটি দেশ পক্ষ পরিবর্তন করে নেটোতে যোগ দেয়।

এখন নেটোর সদস্য সংখ্যা সব মিলিয়ে ৩০।

ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়ার সমস্যা কোথায়?

সোভিয়েত ইউনিয়নের একটি রিপাবলিক ছিল ইউক্রেন। তাদের রাশিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন-উভয়ের সঙ্গেই সীমান্ত রয়েছে।

এই দেশে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর বড় একটি অংশ জাতিগতভাবে রাশিয়ান, যাদের সামাজিক এবং সাংস্কৃতিকভাবে রাশিয়ার সঙ্গে মিল রয়েছে।

ইউক্রেনকে কৌশলের দিক থেকে রাশিয়ার পেছন দরজার মতো মনে করে রাশিয়া।

কিছুদিন আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দাবী করেছেন, ইউক্রেন আসলে রাশিয়ার অংশ।

তবে গত কয়েক বছরে ইউক্রেন অনেক বেশি পশ্চিমা ঘেঁষা হয়ে উঠেছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং নেটোতে যোগ দেয়ার ব্যাপারটি ইউক্রেনের সংবিধানেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

২৪শে ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে হামলা শুরু করেছে রাশিয়া
EPA
২৪শে ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে হামলা শুরু করেছে রাশিয়া

বর্তমানে ইউক্রেন নেটোর একটি 'সহযোগী দেশ'। যার মানে হলো, ভবিষ্যতের কোন এক সময়ে ইউক্রেনকে নেটোর সদস্য হিসাবে গ্রহণ করা হতে পারে।

কিন্তু রাশিয়ার দাবি, পশ্চিমা দেশগুলোকে এই নিশ্চয়তা দেয়া হবে যে, ইউক্রেনকে নেটোতে নেয়া হবে না।

তাতে রাজি নয় যুক্তরাষ্ট্র বা তার সহযোগী দেশগুলো। তারা মনে করে, স্বাধীন ও সার্বভৌম একটি দেশ হিসাবে কোন জোটে যোগ দেয়া বা না দেয়ার সিদ্ধান্ত ইউক্রেনের একান্ত নিজস্ব ব্যাপার।

কেন নেটোতে যোগ দেয়ার কথা ভাবছে ফিনল্যান্ড ও সুইডেন?

সুইডেনসহ স্ক্যান্ডিনেভিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর জনগণের মধ্যে নেটোর সামরিক জোটে যোগদানের জন্য কখনোই খুব বেশি সমর্থন ছিল না।

কিন্তু যখন রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সম্প্রতি ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনকে স্পষ্টভাবে সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে, নেটোর সদস্য হওয়ার দিকে তাদের যেকোনো পদক্ষেপের পরিণতি হতে পারে সামরিক, তখন উভয় দেশের মানুষ গভীরভাবে মর্মাহত হয়।

তারপর থেকে, রুশ যুদ্ধবিমান নির্বিচারে সুইডিশ আকাশসীমায় অনুপ্রবেশ করেছে।

দুই হাজার চৌদ্দ সালে রাশিয়ার একটি সাবমেরিন প্রবেশ করেছিল স্টকহোমের সীমানায়।

নিরপেক্ষ থাকাই যদি রাশিয়ার কাছ থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য যথেষ্ট না হয়, তবে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের জনগণ বলছে, হয়তো নেটোতে যোগ দিলে দেশ দুটি প্রয়োজনীয় সুরক্ষা পেতে পারে।

ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট বৃহস্পতিবার বলেছেন, তার দেশের উচিৎ অবিলম্বে নেটো সদস্যপদের জন্য আবেদন করা।

রবিবার দেশটির পার্লামেন্টে অনুমোদনের পর আনুষ্ঠানিকভাবে এ ব্যাপারে ঘোষণা আসতে পারে।

১৯৪০ সালে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে ১০ শতাংশ ভূমি হারিয়েছিল ফিনল্যান্ড
HULTON ARCHIVE
১৯৪০ সালে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে ১০ শতাংশ ভূমি হারিয়েছিল ফিনল্যান্ড

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রাশিয়ার কাছে নিজেদের ১০ শতাংশ ভূমি হারালেও কোন জোটে যোগ দেয়া থেকে বিরত ছিল ফিনল্যান্ড।

কিন্তু রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড উত্তর ইউরোপের দেশগুলোকে আশঙ্কায় ফেলে দিয়েছে।

ফলে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের মতো দেশগুলো নিজেদের অনিরাপদ ভাবতে শুরু করেছে।

ফিনল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার স্টাব বলেছেন, ২৪শে ফেব্রুয়ারি যখন রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ করেছে, সেদিনই ফিনল্যান্ডের নেটোয় যোগ দেয়া হয়ে গেছে।

সুইডেনের ক্ষমতাসীন দলও এই সপ্তাহেই নেটোতে যোগ দেয়ার বিষয়ে ঘোষণা দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গত নভেম্বরেও সুইডেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিটার হলৎভিস্ট প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে সুইডেন কখনো নেটোতে যোগ দেবে না।

কিন্তু এখন তিনি বলছেন, যদি তারা নেটোতে যোগ দেন, তাহলে নরডিক দেশগুলোর নিরাপত্তা আরও জোরদার হবে।

অনেকে ফিনিশ এবং সুইডিশ মনে করেন, ইউরোপে এখন যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, নেটোতে যোগ দিলে তা থেকে তারা সুরক্ষা পাবেন।

তবে কম হলেও নেটোয় যোগ দেয়ার বিপক্ষে মনোভাবও রয়েছে একটি অংশের।

সুইডিশ পিস অ্যান্ড আরবিট্রেশন সোসাইটির সদস্য ডেবোরা সলোমন বলছেন, নেটোয় যোগ দিলে রাশিয়ার সঙ্গে পারমাণবিক উত্তেজনা আর ঝুঁকি বাড়বে।

সেই সঙ্গে বিশ্বে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ আন্দোলনে সুইডেনের যে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা রয়েছে, তা হারাতে হবে।

নেটোয় যোগ দিলে বিশ্বে শান্তি রক্ষায় সুইডেনের মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকাও আর থাকবে না।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ও ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট
NASA
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ও ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট

ফিনল্যান্ডের দিক থেকে দেখতে গেলে, ইউক্রেন আক্রমণের সাথে ১৯৩৯ সালের ফিনল্যান্ড আক্রমণের মধ্যে কিছু মিল রয়েছে- যা দেশটিতে শীতকালীন যুদ্ধ হিসেবে পরিচিত।

আত্মবিশ্বাসে পূর্ণ জোসেফ স্তালিন তার সেনাবাহিনীকে ফিনল্যান্ডে পাঠিয়েছিলেন শুধুমাত্র এটা প্রমাণ করতে যে, জেনারেলরা তাকে যে ধারণা দিয়েছিলেন তার প্রতিরোধ ব্যবস্থা আসলে তার চেয়েও শক্তিশালী।

ফিনল্যান্ডের জনগণ তখন বিশাল এক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ পরিচালনা করেছিল।

ওই বাহিনীর মনোবল এক বছর বা তারও আগে গুরুতরভাবে ভেঙে পড়েছিল।

ওই বাহিনীর বেশিরভাগ শীর্ষ ব্যক্তিত্বের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে।

আলোচনা শুরু হওয়া এবং একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর আগে 'শীতকালীন যুদ্ধ' কয়েক মাস ধরে চলেছিল।

সেসময় রাশিয়া ফিনল্যান্ডের কাছ থেকে কিছু অঞ্চল দখল করে নেয়।

কিন্তু ফিনিশরা তাদের স্বাধীনতা হারায়নি- এবং তখন থেকে তারা এটি এখনো ধরে রেখেছে।

রাশিয়া কী বলছে?

ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের নেটো যোগ দেয়ার আগ্রহে ক্ষুব্ধ মনোভাব প্রকাশ করেছে রাশিয়া।

ইউক্রেনে হামলার পর রাশিয়া বরাবরই নেটোর বিস্তার ঠেকানোর যুক্তি দিয়ে আসছে। ফলে ফিনল্যান্ড ও সুইডেন নেটোয় যোগ দেয়ার আবেদন করলে সেটা প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন উস্কানি হিসাবে দেখতে পারেন।

বৃহস্পতিবার ফিনল্যান্ড নেটোয় যোগ দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করার পর রাশিয়া হুমকি দিয়েছে, তারা প্রতিশোধমূলক পাল্টা পদক্ষেপ নেবে।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতিতে বলেছে, ''নেটোয় ফিনল্যান্ড যোগ দিলে তা রাশিয়া-ফিনল্যান্ডের সম্পর্কে গুরুতর ক্ষতি করবে। সেই সঙ্গে উত্তর ইউরোপের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতায় প্রভাব ফেলবে।''

ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের নেটো যোগ দেয়ার আগ্রহে ক্ষুব্ধ মনোভাব প্রকাশ করেছে রাশিয়া।
Reuters
ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের নেটো যোগ দেয়ার আগ্রহে ক্ষুব্ধ মনোভাব প্রকাশ করেছে রাশিয়া।

''এ থেকে রাশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি তৈরি হওয়া হুমকি মোকাবেলা করতে রাশিয়া প্রতিশোধমূলক পাল্টা পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে, যার মধ্যে সামরিক-কৌশলগত এবং অন্যান্য ব্যবস্থা থাকতে পারে।'' বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

কিন্তু কি পদক্ষেপ নেয়া হবে, তা পরিষ্কার করেনি রাশিয়া।

শনিবার থেকে ফিনল্যান্ডে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়া। তাদের দাবি, এর আগে সরবরাহ করা বিদ্যুতের দাম পরিশোধ না করায় তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

রাশিয়ার সঙ্গে ফিনল্যান্ডের ১৩০০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী বলেছেন, এর ফলে কালিনিনগ্রাদে রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করতে পারে।

তবে সাবেক ফিনিশ প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার স্টাব বলছেন, সামরিক অভিযানের পরিবর্তনে রাশিয়া হয়তো সাইবার হামলা, বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ানো আর মাঝে মাঝে আকাশসীমা লঙ্ঘনের মতো কাজ করতে পারে।

নেটোতে যোগ দেয়া কী সহজ হবে দুই দেশের জন্য?

সরাসরি না হলেও ১৯৯৪ সাল থেকে নেটোর সহযোগী দেশ হিসাবে কাজ করছে সুইডেন ও ফিনল্যান্ড।

স্নায়ুযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর একাধিক নেটো মিশনে অংশ নিয়েছে দেশ দুটি।

কিন্তু এখন নেটোয় ফিনল্যান্ড ও সুইডেন আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেয়ার কথা ভাবছে মূলত নেটোর আর্টিকেল ফাইভের কারণে।

সেখানে বলা হয়েছে, কোন সদস্য দেশ আক্রমণের শিকার হলে সেটা অন্য সকল দেশের ওপর আক্রমণ হিসাবে বিবেচিত হবে।

ফলে প্রথমবারের মতো পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলোর কাছে নিরাপত্তা চাইবে সুইডেন ও ফিনল্যান্ড।

নেটোর কোন সদস্য দেশ আক্রমণের শিকার হলে সেটা অন্য সকল দেশের ওপর আক্রমণ হিসাবে বিবেচিত হবে।
Getty Images
নেটোর কোন সদস্য দেশ আক্রমণের শিকার হলে সেটা অন্য সকল দেশের ওপর আক্রমণ হিসাবে বিবেচিত হবে।

নেটো মহাসচিব ইয়েন স্টোলটেনবার্গ বলেছেন, তিনি আশা করছেন জোটভুক্ত সব দেশ এই দুই দেশকে সদস্য হিসাবে স্বাগত জানাবেন এবং খুব তাড়াতাড়ি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

নেটোর নিয়ম অনুযায়ী, জোটে নতুন কোন দেশকে সদস্য হিসাবে নিতে হলে বর্তমান সবগুলো সদস্য দেশের একমত হতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, ফিনল্যান্ড ও সুইডেন সদস্যপদের জন্য আবেদন করলে তারা সমর্থন জানাবে।

কিন্তু নেটোর আরেক সদস্য দেশ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তায়েপ এরদোয়ান শুক্রবার বলেছেন, ফিনল্যান্ড ও সুইডেনকে নেটো জোটে নেয়ার পক্ষে নয় তুরস্ক।

তার দাবি, এই দুটি দেশে 'সন্ত্রাসীরা' বাস করছে।

''ফিনল্যান্ড আর সুইডেন নিয়ে কী ঘটছে, সেদিকে আমরা নজর রাখছি। কিন্তু এই (নেটোতে সদস্য হিসাবে গ্রহণ করার) বিষয়ে আমাদের ইতিবাচক মনোভাব নেই,'' বলেছেন মি. এরদোয়ান।

এর আগে তুরস্ক একাধিকবার দাবি করেছিল যে, তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্ব এলাকায় স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে লড়াইরত বিচ্ছিন্নতাবাদী কুর্দি বাহিনীর সমর্থকরা ইউরোপে মুক্তভাবে ঘোরাফেরা করছে।

উনিশশো বায়ান্নো সাল থেকে নেটোর সদস্য তুরস্ক।

ফিনল্যান্ড ও সুইডেন রাশিয়ার আক্রমণের শিকার হলে কী হবে?

তবে এর মধ্যেই ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের নিরাপত্তায় একটি সমঝোতা চুক্তি করেছে যুক্তরাজ্য।

যার ফলে এই দুই দেশ আক্রমণের শিকার হলে যুক্তরাজ্য তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসবে।

আবার যুক্তরাজ্যের কোন সংকটে এগিয়ে আসবে সুইডেন ও ফিনল্যান্ড।

এই চুক্তি যদিও আইনি বা নিরাপত্তা নিশ্চয়তার কোন চুক্তি নয়।

এটা হচ্ছে একপ্রকার রাজনৈতিক অবস্থান পরিষ্কার করা যে, অনুরোধ করা হলে যুক্তরাজ্য সহায়তায় এগিয়ে আসবে।

ফিনল্যান্ড আক্রমণের শিকার হলে যুক্তরাজ্য সেনা পাঠাবে কিনা, জানতে চাওয়া হলে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, সামরিক সহায়তার প্রস্তাব দেয়া হবে।

তবে কী ধরণের সহযোগিতা করা হবে, তা নির্ভর করবে ফিনল্যান্ড কী সাহায্য চায়, তার ওপরে।

এর আগে মি. জনসন বলেছেন, ''সুইডেন যদি আক্রমণের শিকার হয় আর আমাদের কাছে সাহায্য ও সহায়তা চায়, আমরা সেটা দেবো।''

ফিনল্যান্ডে দুই লাখ ৮০ হাজার সৈন্যের সেনাবাহিনী রয়েছে, রিজার্ভ রয়েছে প্রায় নয় লাখ সৈনিক।

দেশটি তাদের মোট জিডিপির দুই শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করে।

সুইডেনও তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে।

English summary
Ukraine-Russia War: Finland-Sweden wants to join Nato
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X