পুতিনকে 'ওয়ান টু ওয়ান' লড়াইয়ের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন ইলন মাস্ক
পুতিনকে 'ওয়ান টু ওয়ান' লড়াইয়ের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন ইলন মাস্ক
রাশিয়া ইউক্রেন আরমণ করার পর স্টারলিঙ্ক নেটওয়ার্ক দিয়ে ইউক্রেনবাসরকে সাহায্য করতে মাঠে নেমেছিলেন ইলন মাস্ক৷ এবার সরাসরি রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনকেই 'ওয়ান টু ওয়ান' ফাইটে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বসলেন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক। টেসলা এবং স্পেসএক্সের সিইও ইলন মাস্ক আপাতদৃষ্টিতে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনকে একের পর এক 'ওয়ান টু ওয়ান' লড়াইয়ের জন্য চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ছেন। টুইটারে মাস্ক পুতিনকে ইউক্রেন হওয়া লড়াই ছেড়ে তাঁর সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য চ্যালেঞ্জ করেছিলেন।
সোমবার একটি টুইটে ইলন লেখেন, 'আমি ভ্লাদিমির পুতিনকে 'ওয়ান টু ওয়ান' লড়াইয়ের জন্য চ্যালেঞ্জ করছি।' টুইটটিতে ভ্লাদিমির পুতিন বানান করার জন্য রাশিয়ান বর্ণমালা ব্যবহার করেছেন ইলন। ইলন মাস্ক আরও লিখেছেন, আপাতদৃষ্টিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ইঙ্গিত দিচ্ছে যে দ্বৈত-বিজয়ী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারে। যেহেতু পুতিনের কোনো ব্যক্তিগত টুইটার অ্যাকাউন্ট নেই, তাই মাস্ক রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের এর অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলকে ট্যাগ করে তাঁর চ্যালেঞ্জের বিষয়ে মতামত চেয়েছেন।
রাশিয়ার অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলকে ট্যাগ করে ইলন জানতে চেয়েছেন আপনারা কি এই লড়াইয়ের করতে আগ্রহী (ইলন বনাম পুতিন)? এর আগে, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক যুদ্ধের মধ্যেই অতি দ্রুত কোম্পানির স্টারলিংক স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইউক্রেনে ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করেছিলেন। প্রসঙ্গত পুতিন রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি হওয়ার সঙ্গেই নিজে একজন বড় মাপের যোদ্ধ। তাইকোয়ান্ডোর মতো ডেডলি মার্শাল আর্টে ব্ল্যাকবেল্ট রয়েছে পুতিনের। তাই তাঁকে 'ওয়ান টু ওয়ান' লড়াইয়ের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়া সাহসের, এটা মানছেন অনেকেই৷
প্রসঙ্গত, ২৪ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনকে অসামরিকীকরণ ও বিচ্ছিন্ন করার জন্য একটি বিশেষ সামরিক অভিযানের অনুমোদন দেওয়ার পর রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করে। রাষ্ট্রসংঘ জানিয়েছে এই আক্রমণের পর থেকে কমপক্ষে ৫৯৬ অসামরিক মৃত্যুর নথিভুক্ত করেছে তারা। যদিও সংস্থাটির বিশ্বাস যুদ্ধে মৃত অসামরিক ব্যক্তির প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি। সঙ্গেই লক্ষাধিক লোক তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। ২.৮ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ যুদ্ধের জন্য প্রাণ বাঁচাতে ইউক্রেন ছেড়েছেন৷ পোল্যান্ড এবং অন্যান্য প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় নিয়েছেন এঁরা। অন্যদিকে চলতে থাকা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রতিনিধিরা আজ আবারও এক দফা আলোচনায় বসেছেন। যদিও উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে প্রতিনিধি পর্যায়ের আলোচনা এবং বৈঠক এখন পর্যন্ত কোনো অনুকূল ফলাফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে।