রাশিয়া আর সন্ত্রাসবাদী সমার্থক, রাষ্ট্রপুঞ্জের ভাষণে গর্জে উঠলেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট
রাশিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে চাঞ্চ্যকর অভিযোগ আনলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলনস্কি।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে চাঞ্চ্যকর অভিযোগ আনলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলনস্কি। ইউক্রেনে রুশ হামলার পর প্রথম রাষ্ট্রপুঞ্জের ভাষণে জেলেনস্কি অভিযোগ করেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মতো যুদ্ধ অপরাধ করেছে রাশিয়া। বুচায় রুশ বাহিনী যে অত্যাচার চালিয়েছে, তাঁকে সন্ত্রাসবাদী ক্রিয়াকলাপের সঙ্গে তুলনা করেন তিনি।
রাষ্ট্রপুঞ্জে পুতিন বাহিনীর বিরুদ্ধে সরব হয়ে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট বলেন, রাশিয়া যা করছে তা জঙ্গি আচরণের সঙ্গেই তুলনীয়। বুচায় তারা ভূখণ্ড দখল করে যা নয়, তাই করে বে়ড়াচ্ছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের এক সদস্যই অত্যাচার চালিয়েছে। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্টও পুতিনকে যুদ্ধ অপরাধী তকমা দিয়েছিলেন।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে মৃতদেহের গ্রাফিক ভিডিও দেখিয়ে ইউক্রেন দাবি করেছে, জাতিসংঘকে অবিলম্বে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, অবিলম্বে এর সংস্কার করতে হবে। নিরাপত্তা পরিষদে সব অঞ্চলের ন্যায্য প্রতিনিধিত্ব থাকতে হবে। রুশ সামরিক বাহিনীকে অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে বলে জানান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ থেকে রাশিয়াকে বহিষ্কারের আহ্বান জানিয়েছেন। কয়েক হাজার ইউক্রেনীয়কেও রাশিয়ায় নির্বাসিত করা হয়েছিল। তাদের অ্যাপার্টমেন্টে হত্যা করা হয়েছিল, বেসামরিক নাগরিকরা রাস্তার মাঝখানে তাদের গাড়িতে বসে ট্যাঙ্ক দ্বারা পিষ্ট হয়েছিল
জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়া ইউক্রেনকে নীরব দাসে পরিণত করতে চায়। জেলেনস্কি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন, আমরা এমন একটি রাষ্ট্রের মোকাবিলা করছি যেটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভেটোকে 'মৃত্যুর অধিকারে' পরিণত করছে। জেলেনস্কি ইউক্রেনে রুশ কর্মকাণ্ডের জন্য পূর্ণ জবাবদিহি চেয়েছেন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।
জেলেনস্কির কথায়, রাশিয়া বুচায় কী করেছে তা এখন বিশ্ব দেখতে পাচ্ছে। আমাদের দেশের অন্যান্য অধিকৃত শহর ও অঞ্চলে তারা কী করেছে, তা বিশ্ব এখনও দেখতে পায়নি। বুচায় রাশিয়ার নৃশংসতা আইসিস সন্ত্রাসীদের মতোই ছিল। তারা এই অঞ্চলগুলি দখল করেছিল। তারপর বেসামরিক লোকদের হত্যা, মহিলাদের ধর্ষণ করেছে। নিরাপত্তা পরিষদের যে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়ার কথা তা কোথায়, প্রশ্ন তোলেন জেলেনস্কি।
ভারতও ইউক্রেনে ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতির জন্য গভীরভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। অবিলম্বে হিংসা বন্ধ করার এবং শত্রুতা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে ভারত। আমরা সংঘাতের শুরু থেকেই কূটনীতি এবং সংলাপের পথ অনুসরণ করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছি। ইউক্রেনের ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে, ভারত ইউক্রেন এবং তার প্রতিবেশী দেশগুলিতে ওষুধ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী সহ মানবিক সরবরাহ পাঠাচ্ছে। আমরা আগামী দিনে ইউক্রেনে আরও চিকিৎসা সরবরাহ করতে প্রস্তুত।