সম্পর্কের অবনতির নয়া ইঙ্গিত! ভারতে বন্ধ হল পাকিস্তান সরকারের টুইটার অ্যাকাউন্ট
সম্পর্কের অবনতির নয়া ইঙ্গিত! ভারতে বন্ধ হল পাকিস্তান সরকারের টুইটার অ্যাকাউন্ট
ভারতে পাকিস্তান সরকারের টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল ভারত। আইনি দাবি প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাকিস্তান সরকারের টুইটার অ্যাকাউন্টটি ভারত থেকে খুলতে গেলেই একটি লেখা ভেসে আসছে। যেখানে জানানো হয়েছে, আইনি দাবির প্রতিক্রিয়ায় ভারতে পাকিস্তান সরকারের অ্যাকাউন্টটি বন্ধ রাখা হয়েছে।
পাক সংবাদমাধ্যমের দাবি
জুন মাসে পাকিস্তানের একটি সংবাদমাধ্যম দাবি করে, নয়াদিল্লি ভারতের তথ্য প্রযুক্তি আইন ২০০০ এর অধীনে বেশ কয়েকটি দূতাবাস, সাংবাদিক এবং কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করেছে। অন্যদিকে, নয়াদিল্লি একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছিল, পাকিস্তান সাংবাদিকদের টুইটার অ্যাকাউন্ট ভারতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আগেও বন্ধ হয়েছিল পাক সরকারের টুইটার অ্যাকাউন্ট
ভারত ও পাকিস্তান সরকারের টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা নতুন কিছু নয়। চলতি বছরের জুলাই মাসে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। তখনও পাকিস্তান সরকারের যে কোনও টুইটার অ্যাকাউন্ট ভারত থেকে খোলা যাচ্ছিল না। পরে যদিও ফের পাকিস্তান সরকারের টুইটার অ্যাকাউন্ট খোলা সম্ভব হয়েছিল। শনিবার নতুন করে ভারত পাকিস্তান সরকারের টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে। যদিও এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কোনও বিবৃতি পাওয়া যায়নি। এর আগে ভারত রাষ্ট্রসংঘ, তুরস্ক, ইরান, মিশর ও পাক দূতাবাসের টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছিল।
টুইটারের দাবি
জানা গিয়েছে, মাইক্রো ব্লগিং সংস্থা টুইটার ২০২১ সালের শেষ ছয় মাস কয়েকজন সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেওয়ার জন্য আবেদন পেয়েছিল। সারা বিশ্ব থেকে মোট ৩২৬টি আইনি দাবি করা হয়েছিল। ভারতের পাশাপাশি তুরস্ক, রাশিয়া, পাকিস্তান এই অনুরোধ করেছিলেন। তবে সব থেকে বেশি অনুরোধ ভারতের থেকে এসেছিল। ভারত সরকার ১১৪টি টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার জন্য আইনি দাবি করেছিল। তারপরেই রয়েছে তুরস্ক। তারা ৭৮টি টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার আইনি দাবি করেছিল। রাশিয়া ৫৫টি ও পাকিস্তান ৪৮টি আইনি দাবি করেছিল।
ভারত ও পাক সম্পর্কের অবনতি
রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়। পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার তীব্র প্রতিবাদ করেন। ভারতের সমালোচনা করেন। ভারতে প্রতিনিধি হিসেবে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনিও পাল্টা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগ করেন।
অধীরের রাশ আলগা কংগ্রেসে! প্রদেশ যুব সভাপতি নির্বাচনে পেলেন অবাক হারের স্বাদ