তুরস্কে সেনাপ্রধান উদ্ধার, সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা ব্যর্থ বলে দাবি এরদোগানের
আঙ্কারা, ১৬ জুলাই : আত্মসমর্পণ করতে শুরু করেছে তুরস্কের সরকারকে উৎখাত করতে আসা বিদ্রোহী সেনা। প্রথমে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধলেও পরে সরকারের তৎপরতায় অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া সেনারা আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছে। [তুরস্কে সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা, সংসদের সামনে গুলির লড়াইয়ে মৃত ৬০]
এদিকে নিখোঁজ থাকা তুরস্কের সেনাপ্রধান হুলুসি আকারকে উদ্ধার করা হয়েছে। বিক্ষুব্ধরা কোনও এক জায়গায় তাঁকে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখেছিল। তাঁর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। সেজন্য নতুন সেনাপ্রধান নিয়োগ করতে হয়েছিল।

এরদোয়ান সরকারকে সরিয়ে সামরিক আইন জারির চেষ্টার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই এই বিদ্রোহকে নস্যাৎ করে দেওয়া হল বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এই ঘটনার পিছনে কারা রয়েছে তা স্পষ্টভাবে উঠে আসেনি। এরদোয়ানের তরফে ফতুল্লা গুলেন নামে একজনের উপরে দায় চাপানো হলেও তিনিই এর পিছনে রয়েছেন তা স্পষ্ট হয়নি।
তুরস্কে শুক্রবার রাত থেকে অভ্যুত্থানের চেষ্টা শুরু হয়। গভীর রাতে তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারা, ইস্তানবুল সহ বেশ কিছু শহরের দখল নিতে শুরু করে বিক্ষুব্ধ সেনারা। তুরস্কের সংসদের বাইরে সেনা ট্যাঙ্ক মোতায়েন করে শুরু হয় গোলাগুলি। এরদোয়ানের সমর্থনে জনতার এক অংশ পথে নেমে পড়লে পুলিশের গুলিতে আমজনতার মধ্য়ে অনেকে মারা যান।
বিক্ষুব্ধ সেনারা জানায়, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষার জন্য সামরিক অভ্যুত্থান করা হয়েছে। পরে দেখা যায়, সামরিক বাহিনীর সামান্য একটি অংশই এই বিক্ষোভের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে। রাষ্ট্রপতি এরদোয়ানের বিভিন্ন নীতি তুরস্কে অশান্তি তৈরি করেছে এবং সেনাদের অধিকার তাতে খর্ব হচ্ছে এমনটা দাবি করেই সেনা বিক্ষোভ হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এরদোয়ানের 'জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি' ইসলামী ভাবাদর্শে বিশ্বাসী। তাঁরা তুরস্কের ক্ষমতায় আসার পরই নানা কারণে তুরস্কে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। এরদোয়ানের হাত ধরে ধর্মনিরপেক্ষ তুরস্ক ইসলামের দিকে ঝুঁকছে বলে অভিযোগও উঠেছে। এছাড়া তুরস্কের সেনাকে একঘরে করে রাখতে চেয়েছেন এরদোয়ান, সেজন্যই কারও কারও মনে বিক্ষোভ দানা বেঁধেছে।