একমাত্র আমি বাঁচাতে পারি, সুনককে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দৌড় থেকে সরে দাঁড়ানোর পরামর্শ জনসনের
দলের স্বার্থে সুনককে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দৌড় থেকে সরে দাঁড়ানোর পরামর্শ জনসনের
লিজ ট্রাসের পর ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন সম্ভবত ঋষি সুনক। একটি সমীক্ষাতে দেখা গিয়েছে, তিনি অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমগুলো তাদের প্রতিবেদনে দাবি করেছে, বরিস জনসন দলের স্বার্থে ঋষি সুনককে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বলেছেন। সুনকের পরিবর্তে বরিস জনসন ফের প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য লড়াই করবেন। প্রসঙ্গত, দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয় বরিস জনসনের বিরুদ্ধে। তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
দলকে একমাত্র বরিস জনসন বাঁচাতে পারবে!
২০২৪ সালের ডিসম্বরে ব্রিটেনে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। কনজারভেটিভ দলের নেতাদের বরিস জনসন বলেন, একমাত্র তিনি ব্রিটিনে আগামী নির্বাচনে দলকে পরাজয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে পারবেন। অন্যদিকে, বিরোধী দলগুলো সময়ের আগে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। বিরোধীরা জানিয়েছেন, কনজারভেটিভ দল ইতিমধ্যে তাদের জনপ্রিয়তা হারিয়েছে। তাই নির্বাচন হোক। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই কনজারভেটিভ দলের পরবর্তী নেতা নির্বাচিত হবেন বলেন বলে জানা গিয়েছে।
দুর্নীতির অভিযোগ ইস্তফা দিয়েছিলেন জনসন
বরিস জনসন ব্রিটেনে তিন বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আসতে শুরু করে। কোভিড লকডাউনের পরেই তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। তবে এখনও তিনি ব্রিটেনের জনগণের একাংশের পাশাপাশি কনজারভেটিভ দলের একাংশের কাছে জনপ্রিয় রয়েছেন। তবে সম্প্রতি একটি সমীক্ষা করা হয়েছে। সেখানে ঋষি সুনক বরিস জনসনের থেকে এগিয়ে রয়েছেন। ৪৪ শতাংশ ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঋষি সুনককে পছন্দ করছেন তো ৩১ শতাংশ বরিস জনসনকে পছন্দ করছেন।
ব্রিটেনে সব থেকে কম দিনের প্রধানমন্ত্রী
মাত্র ৪৫ দিনের মাথায় ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন লিজ ট্রাস। তবে ইস্তফা দেওয়ার কিছুদিন আগে থেকেই এই নিয়ে ব্রিটেন জুড়ে জল্পনা তৈরি হয়। ইস্তফা দেওয়ার পর লিজ ট্রাস বলেন, 'বর্তমান পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, আমি আমার দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে পারব না। আমি দেশের অর্থনৈতিক সঙ্কট দূর করার জন্য লড়াই করেছিলাম। আমি যখন দেশের দায়িত্ব নিয়েছিল, দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির স্থিতাবস্থা ছিল না। এত খারাপ পরিস্থিতির মধ্যেও আমরা কর কমানোর স্বপ্ন দেখেছিলাম। একটি শক্তিশালী অর্থনীতি গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলাম। কিন্তু আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েও প্রতিশ্রুতি রাখতে পারিনি। তাই আমি পদত্যাগ করছি।'
দলের অভ্যন্তরেই অসন্তোষ
লিজ ট্রাস প্রধানমন্ত্রী থাকা কালীন সম্প্রতি সংসদে মিনি বাজেট পেশ করেছিলেন। সেই বাজেটে ব্রিটেনে কর বৃদ্ধি ও মূল্যবৃদ্ধি রোধে একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়িত করার প্রায় সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যাহার করা হয়। নির্বাচনের প্রচারের সময় তিনি কর কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু কর কমানোর সিদ্ধান্তের প্রত্যাহারের পরেই তিনি দলের অভ্যন্তরেই বিক্ষোভের মুখে পড়েন। লিজ ট্রাসের পদত্যাগের পরেই বিরোধী নেতা কিয়ার স্টারমার নির্বাচনের দাবি তোলেন। তবে বর্তমানে কনজারভেটিভ পার্টি নতুন নেতা খুঁজতেই ব্যস্ত। লিজ ট্রাসের পদত্যাগের পর ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচনের কোনও সম্ভাবনা দেখা যায়নি।