সাংবাদিক ও NATO-র কর্মীদের জন্য প্রতি দুয়ারে খোঁজ চালাচ্ছে তালিবান
সাংবাদিক ও NATO-র কর্মীদের জন্য প্রতি দুয়ারে খোঁজ চালাচ্ছে তালিবান
তালিবানের কথা আর কাজে যে প্রচুর ফারাখ তা কয়েকদিন ধরেই বিশ্বের মানুষের কাছে স্পষ্ট। পুরনো বিরোধীদের কোনও রকম আক্রমণের রাস্তায় না হাঁটার কথা বলেছিল তালিবানরা৷ কিন্তু আফগানিস্তান জুড়ে এখন ঠিক তার উল্টো ছবিটাই ধরা পড়ছে৷ উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংস্থা (ন্যাটো) বাহিনী এবং আগের সরকারের জন্য কাজ করা লোকদের খোঁজে ঘরে ঘরে তল্লাশি চালাচ্ছে তালিবানরা। এবং তাদের পরিবারের লোকদের আক্রমণ করছে বলে রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে উঠে এল।
সম্প্রতি UN প্রকাশিত একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, তালিবানরা উত্তর আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন (ন্যাটো) বাহিনী এবং আগের সরকারের জন্য কাজ করা লোকদের ঘরে ঘরে তল্লাশি চালাচ্ছে। একটি আর্ন্তজাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে রাষ্ট্রসংঘকে গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহকারী RHIPTO নরওয়েজিয়ান সেন্টার ফর গ্লোবাল অ্যানালাইসিসের পক্ষ থেকে পাঠানো একটি সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে তালিবান-রা তাদের বিরোধীদের টার্গেট করছে৷
রিপোর্টটিতে আরও বলা হয়েছে, তালিবানরা জানিয়েছে, 'বর্তমানে তালিবানদের ব্ল্যাকলিস্টে থাকা ব্যক্তিদের সংখ্যা অনেক বেশি এবং হুমকি স্পষ্ট। তালিবানদের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে বলা হয়েছে যে, যদি দোষী (বিরোধীরা) নিজেদের তালিবানের হাতে সমর্পণ না করে তাহলে সেই ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের গ্রেপ্তার, জিজ্ঞাসাবাদ, বিচার কীবে এবং শাস্তি দেবে তারা।
সম্প্রতি তালিবান বিরোধী একজন সাংবাদিকের আত্মীয়কে হত্যা করেছে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় বসা সন্ত্রাসবাদী সংগঠনটি। তালিবান জঙ্গিরা এমন একজন সাংবাদিকের খোঁজে বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালাচ্ছে, যিনি বর্তমানে জার্মানিতে কাজ করেন। এই সাংবাদিকেরই দ্বিতীয় আত্মীয় আহত হলেও পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।
গোয়েন্দা সূত্রের খবর তালিবানরা নিজেদের শত্রু খতম করার জন্য একটি 'ব্ল্যাক লিস্ট' তৈরি করেছে৷ কালো তালিকাভুক্ত যে কেউ আফগানিস্তানে মারাত্মক বিপদে রয়েছে। এবং আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই সেখানে প্রচুর মৃত্যুদণ্ডের ঘোষণা হতে পারে। গত পাঁচ দিনে কাবুল বিমানবন্দর থেকে ১৮ হাজারেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে শুক্রবার ন্যাটোর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। এই সব বিষয়গুলি এমন এক সময়ে ঘটছে যখন তালিবানরা প্রকাশ্যে সংবাদমাধ্যমে কিংবা বিভিন্ন রাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে বলছে যে তারা শান্তি চায়, পুরনো শত্রুদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেবে না এবং ইসলামী আইনের কাঠামোর মধ্যে নারীর অধিকারকে সম্মান করবে।