কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জানা যাবে অক্সফোর্ড কোভিড–১৯ ভ্যাকসিনের ফলাফল, উত্তেজনা তুঙ্গে
করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করতে করতে ক্লান্ত বিশ্ব এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে রয়েছে কবে কোভিড–১৯–এর প্রতিষেধক বের হবে। ইতিমধ্যেই এই করোনা ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ৬ লক্ষ মানুষের প্রাণ নিয়েছে। তবে মেডিক্যাল জার্নাল ল্যানসেটের সম্পাদক টুইট করেছেন যে তিনি অক্সফোর্ড কোভিড–১৯ ভ্যাকসিনের ফলাফল সোমবার ঘোষণা করবে। এই টুইটের পর চিকিৎসা মহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

সোমবারই জানা যাবে এই ভ্যাকসিনের ফল
রবিবার রিচার্ড হর্টন টুইট করে বলেন, ‘আগামীকাল। প্রতিষেধক। শুধু জানিয়ে রাখলাম।' ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যালস জায়ান্ট অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে যৌথভাবে এই ভ্যাকসিন তৈরি করেছে অক্সফোর্ড। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে এই ভ্যাকসিন আদৌ সফল হবে কিনা তা জানতে ইতিমধ্যে যুক্তরাজ্য এবং ব্রাজিলে ব্যাপক পরিসরে প্রতিষেধকটির পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়েছে। তবে মানবদেহে প্রথম ধাপের পরীক্ষায় এটি নিরাপদ এবং রোগ প্রতিরোধ বৃদ্ধি করে কিনা সেটি সোমবার আরও পরের দিকে বিজ্ঞান বিষয়ক জার্নাল ল্যানসেটে এক নিবন্ধে জানাবেন অক্সফোর্ড বিজ্ঞানীরা।

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে তৈরি হচ্ছে প্রতিষেধক
হু যারা বিশ্বজুড়ে ১৪০টি নোভেল করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধকের প্রতিদ্বন্দ্বীদের পরিচালনা করছে, যার মধ্যে প্রায় ২৪টি প্রতিষেধক বিভিন্ন স্তরে মানুষের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য গিয়েছে। চিনা সংস্থা সিনেভ্যাক বায়োটেক তাদের প্রতিষেধকের ট্রায়ালের তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছে এবং ব্রাজিলে চলছে তাদের ট্রায়াল। অন্যদিকে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়/অ্যাস্ট্রাজেনেকা তিন ও দ'নম্বরের মিশ্র স্তরে রয়েছে এবং ব্রিটেনে ট্রায়াল চলছে। তবে খুব শীঘ্রই দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলেও ট্রায়াল শুরু হবে। অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় খেলোয়াড়দের মধ্যে জার্মান ফার্ম বায়োএনটেক ফার্মার মেজর ফাইজারের সঙ্গে কোভিড-১৯ এর একটি ভ্যাকসিন তৈরির জন্য সহযোগিতা করছে। সংস্থাগুলি সার্স-কোভ-২ এর বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য দুটি তদন্তকারী ভ্যাকসিন পরীক্ষার জন্য ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ইউএসএফডিএ) থেকে দ্রুত ট্র্যাকের অনুমতি পেয়েছে।

আগামী বছর কোভিড–১৯–এর প্রতিষেধকের প্রতীক্ষা শেষ হবে
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী বছরের মাঝের দিকে হয়তো যে কোনও একটি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন বিস্তৃত পরিসরে সহজলভ্য হতে পারে। সাধারণত যেকোনও ভ্যাকসিন তৈরি এবং চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য কয়েকবছর এমনকি কয়েক দশকের দরকার হয়। তবে অক্সফোর্ডের এই ভ্যাকসিন যদি সফল হয় তাহলে সেটি হবে একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার হবে।

সফল হলে সেপ্টেম্বরেই প্রয়োগ
এর আগে, অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীরা বলেছিলেন, তারা ভ্যাকসিনটির সফলতার ব্যাপারে ৮০ শতাংশ আশাবাদী। যদি সফল হয় তাহলে আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যেই মানুষের শরীরে ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ শুরু করা যেতে পারে।

করোনার ছোঁবলে নয়, অসমের কয়েক লক্ষ মানুষের জীবন বিপর্যস্ত ব্রহ্মপুত্রের রোষানলে!