'সুইস সিক্রেট' তালিকায় অর্থপাচারকারী হিসেবে নাম রয়েছে প্রাক্তন ISI প্রধানের
এবার 'সুইস সিক্রেট' তালিকায় নাম উঠল পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এর প্রাক্তন প্রধান আখতার আবদুর রেহমান খানের।
পাকিস্তানের একসময়ের শাসক জিয়া-উল-হকের ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের একজন জেনারেল আখতার আবদুর রেহমান খান৷ নিউইয়র্ক টাইমস নামক বিখ্যাত সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত খবর অনুসারে আফগানিস্তানে রুশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে মুজাহিদিনদের সাহায্য করেছেন এএআর খান৷ এবং এই কাজের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের কাছ থেকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার মুজাহিনদের সাহায্য হিসেবে নিয়েছেন এএআর খান৷
বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমটির প্রকাশিত তথ্য অনুসারে এই বিপুল পরিমান অর্থ নেওয়ার জন্য এএআর খানের তিন ছেলের নামে অ্যাকাউন্টটি খোলা হয়েছিল। সংবাদমাধ্যমের দেওয়া তথ্য অনুসারে মার্কিণ ও মিত্র দেশগুলি থেকে সাহায্য বাবদ পাওয়া অর্থ থেকে বড় অংশ চুরি করেছেন জেনারেল এএআর খান৷ যা কখনও ধরা পড়েনি। সম্প্রতি ফাঁস হওয়া তথ্য অনুসারে ৩.৭ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ চুরি করেছেন জেনারেল খান৷ যদিও জেনারেল খান একা নম, সুইজারল্যান্ডের দ্বিতীয় বৃহত্তম ঋণদাতা ক্রেডিট সুইসের কাছ থেকে ব্যাপক ব্যাঙ্কিং ডেটা ফাঁসের ঘটনায় খান এবং জর্ডনের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ এবং মিশরের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি হোসনি মুবারকের ছেলেদের নাম জড়িয়েছে৷
'সুইস সিক্রেটস' নামে অভিহিত এই বিস্ফোরক স্কুপটি একটি জার্মান সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে। একটি বেনামী সূত্র যারা অর্থ পাচার এবং দুর্নীতির অভিযোগ এবং অভিযুক্তদের সন্ধান করেছে তাদের তরফেই এই তথ্য দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে সংবাদপত্রটি৷
অন্যদিকে ওসিসিআরপি (OCCRP) প্রতিবেদনে সরাসরি প্রাক্তন আইএসআই প্রধান এএআর খানকে অভিযুক্ত করা হয়েছে অর্থ পাচার ও চুরির জন্য৷ যিনি মার্কিন এবং সৌদি থেকে সাহায্য হিসেবে দেওয়া কয়েক হাজার কোটি টাকা আফগানিস্তানে বিদ্রোহীদের হাতে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্বে ছিলেন। প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে যে খান ১৯৮০-র দশকের শেষের দিকে আফগানদের হাতে মার্কিন নগদ পৌঁছে দেওয়ার কাজ করতেন। প্রসঙ্গত অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট (ওসিসিআরপি)-র ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, দ্য 'সুইস সিক্রেট'স হল বিশ্বের অন্যতম ধনী এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যাঙ্কে একটি আন্তর্জাতিক তদন্ত।