নৌসেনা ঘাঁটিতে পরিবার নিয়ে লুকিয়ে রাজাপাক্ষে, জানতে পেরে কী করলেন বিক্ষোভকারীরা
নৌসেনা ঘাঁটিতে পরিবার নিয়ে লুকিয়ে রাজাপাক্ষে, জানতে পেরে কী করলেন বিক্ষোভকারীরা
পদত্যাগ করার পরেই পরিবারকে আত্মগোপন করেছেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রাজাপাক্ষে। সূত্রের খবর রাতের অন্ধকারে পরিবারকে নিয়ে তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন শ্রীলঙ্কারই একটি নৌসেনা ঘাঁটিতে। সেটা জানার পরেই ক্ষোভে ফুঁসছেন দেশবাসী। সেই নৌেসনা ঘাঁটির বাইরেও বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছিলেন বিদ্রোহীরা। যদিও শ্রীলঙ্কা সেনার দাবি বিক্ষোভকারীদের সেই নৌসেনা ঘাঁটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পালিয়ে বেরাচ্ছেন রাজাপােক্ষ
গণ অভ্যুত্থান শুরু হয়েছে শ্রীলঙ্কায়। চাপে পড়ে গতকাল দুপুরে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। তারপরেই শ্রীঙ্কায় বিক্ষোভোর আগুন দ্বিগুণ চড়ে। একের পর অক সাংসদ মন্ত্রীদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সাংসদরে মারধর থেকে শুরু করে হত্যা করার ঘটনাও ঘটেছে। ক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে শ্রীলঙ্কা। এরই মধ্যে পদত্যাগ করার পরেই রাতারাতি সরকারি আবাসন ছেড়ে পরিবারকে নিয়ে পালিেয় গিয়েছেন রাজাপাক্ষে। বিপুল সেনা প্রহরায় রাজাপাক্ষে এবং তাঁর পরিবারকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিরাপদ স্থানে। কলোম্বো থেকে ২৭০ কিলোমিটার দূরে ত্রিঙ্কোমািল নৌসেনা ঘাঁটিতে লুকিয়ে রয়েছে তিনি।
নৌসেনা ঘাঁটিতে বিক্ষোভ
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজাপাক্ষে সেখানে লুকিয়ে রয়েছেন জানতে পেরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। জানা গিয়েছে সেই নৌসেনা ঘাঁটি ঘেরাও করে নাকি বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন সকলে। যদিও সেনাবাহিনীর দাবি বিক্ষোভকারীদের সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে নাকি রাজাপাক্ষে এবং তাঁর পরিবারকে হেলিকপ্টারে উড়িয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি এখনও পালিয়ে বেরাচ্ছেন। তাঁর সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।
কার্ফু জারি শ্রীলঙ্কায়
লাগাতার এক সপ্তাহ ধরে চলছে শ্রীলঙ্কায় বিক্ষোভ। পরিস্থিতি সামাল দিতে শ্রীলঙ্কায় কার্ফু জারি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রচুর সেনা এবং পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে একাধিক জায়গায়। গত এক সপ্তাহ ধরে শ্রীলঙ্কায় কার্যত গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তাতে ৫ জন মারা গিয়েছেন। ২০০-র বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। চরম অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে শ্রীলঙ্কায়। একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ শুরু হয়ে গিয়েছে।পরিস্থিতি সামাল দিতে কাঁদানে গ্যাসের শেল থেকে শুরু করে শূন্যে গুিল চালানোর ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
উত্তাল দেশ
শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি নজরে পড়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জেরও। এই নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে আন্তর্জাতিক মহলেও। কেন এই পরিস্থিিত তৈরি হল সেখানে এই নিয়ে আলোচনা চলছে। শ্রীলঙ্কার বাসিন্দাদের শান্ত হয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব। গত ৫০ বছরে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি শ্রীলঙ্কা দেখেনি। এতটাই সংকট জনক পরিস্থিতি তারি হয়েছে সেখানে। রাস্তায নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। সরকারি মন্ত্রী আমলাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দওয়া হচ্ছে।
রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাগুলির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে কেন্দ্রকে ২৪ ঘন্টা সময় বেঁধে দিল সুপ্রিম কোর্ট