ফেসবুকের উস্কানিমূলক পোস্ট অপসরণে আরও জোর দেওয়ার পক্ষে সওয়াল শেরিল স্যান্ডবার্গের
সারা
বিশ্বজুড়েই
সোশ্যাল
নেটওয়ার্কিং
সাইটগুলির
মধ্যে
সর্বাধিক
জনপ্রিয়
ফেসবুক।
কিন্তু
যত
দিন
যাচ্ছে
উস্কানিমূলক
পোস্ট,
বিভিন্ন
বিদ্বেষমূলক
বক্তব্যের
পাশাপাশি,
ঘৃণ্য
বিষয়বস্তুতে
ছেয়ে
যাচ্ছে
ফেসবুক।
গত
মে
মাস
থেকেই
এই
বিষয়টিকে
কঠিন
নজরদারিতে
রেখেছিল
জুকারবার্গের
এই
সংস্থা।
এদিন
ফেসবুকের
চিফ
অপারেটিং
অফিসার
শেরিল
স্যান্ডবার্গের
গলাতেও
ফেসবুক
নিয়ে
শোনা
যায়
কড়া
বার্তা।
তিনি
জানান
'বিদ্বেষমূলক’
বিষয়বস্তু
অপসারণের
ক্ষেত্রে
ফেসবুককে
আরও
আরও
দক্ষ
হতে
হবে।
এদিকে গত কয়েক বছরেই ফেসবুকে বিদ্বেষমূলক বার্তা ও বিভিন্ন ক্ষতিকারক বিষয়বস্তুর পরিমাণ উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। ফেসবুক এই সমস্ত পোস্ট অপসারণে ব্যর্থ বিবেচনা করে শতাধিক সংস্থা ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ফেসবুকের সিওও শেরিল স্যান্ডবার্গ। তার মতে এই কারণেই এই সমস্ত উস্কানিমূলক পোস্ট অপসারণের ক্ষেত্রে আরও বেশি সতর্ক হবে ফেসবুককে।
গত মে মাসে ফেসবুক কর্তৃক প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৭ সালের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে উস্কানিমূলক বিষয়বস্তু অপসারণ ছয়গুণ বৃদ্ধি করে ফেসবুক। এছাড়াও চলতি বছরের শুরুতেই বিশ্বের বৃহত্তম সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থা প্রায় ৪৭ লক্ষ্য প্ররোচনা ও উস্কানিমূলক পোস্ট সরিয়ে দিয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। একই সাথে বর্তমানে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত প্রায় ৫ কোটি ভুয়ো খবর ফেসবুক চিহ্নিত করলেও তবুও যেন খামতি থেকে যাচ্ছে কোথাও।
ফেসবুকের সিওও জানান "আমাদের উদ্দেশ্য ফেসবুক ব্যবহারকারীদের নিজস্ব প্রতিভা প্রকাশের মাধ্যম হয়ে উঠবে, তাদের প্রতিবাদের প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠবে। এর অর্থ এই নয় যে সেখানে ঘৃণা, উস্কানিমূলক বার্তা, কটু মন্তব্য গ্রহণযোগ্য হবে"। এই প্রসঙ্গে স্যান্ডবার্গ জানান, "আমরা কখনই নিখুঁত হতে পারব না, তবে আমরা এই ক্ষেত্রে আরও যত্নশীল হব"।
বুধবার ফেসবুক তার দীর্ঘ প্রত্যাশিত নাগরিক অধিকার পর্যালোচনা প্রকাশ করতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে। যেখানে স্পষ্ট গত দু'বছরে এই সংস্থার নীতি ও অনুশীলন গুলির একটি পর্যালোচনা প্রকাশিত হবে বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি, উস্কানিমূলক বক্তৃতায় ভরা পোস্টগুলি আরও ভালভাবে সন্ধান এবং সরানোর জন্য আরও জোর দেওয়া হয়েছে বলে একাধিকবার ফেসবুকের তরফে জানানো হয়েছে। এছাড়াও ক্ষুব্ধ বিজ্ঞাপনদাতাদের সঙ্গে কথা বলে তাদের প্রতিক্রিয়া নেওয়া হয়েছে। শেষে ফেসবুকের চিফ অপারেটিং অফিসার জানান, " আর্থিক কারণে বা বিজ্ঞাপনদাতাদের চাপের জন্য আমরা এই ব্যবস্থা নিচ্ছি এমনটা নয়, এটি করা উচিৎ তাই করছি।"