চিনে দ্বিতীয় পর্যায়ে আবার করোনার থাবা, সন্দেহ বহিরাগতদের উপর
চিনে দ্বিতীয় পর্যায়ে আবার করোনার থাবা, সন্দেহ বহিরাগতদের উপর
মঙ্গলবার চিনে নতুন করে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৭৮জন, যাদের মধ্যে অধিকাংশই চিনের বাইরে থেকে দেশে ফিরেছেন বলে মত চিন সরকারের।
উহানে নতুন করোনা আক্রান্তের খোঁজ
এক সপ্তাহ পূর্বে চিনের উহানে নতুন করে করোনায় আক্রান্তের খোঁজ মেলে। দেশের অন্যান্য প্রান্তে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৩। চিনের স্বাস্থ্য পরিষদের মতে নতুন করে মারা গেছেন ৭জন, যারা প্রত্যেকেই উওহানবাসী।
সন্দেহের তালিকায় বহিরাগতরা
মার্চের প্রায় প্রথম থেকেই করোনা নিয়ে রিপোর্ট শুরু করেছেন চৈনিক স্বাস্থ্যকর্তারা। তাঁদের মতে, চিনে বাইরে থেকে আগত নাগরিকদের মধ্যে সংক্রামিতের সংখ্যা মার্চে আক্রান্তদের তুলনায় বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ।
বাইরে থেকে আসা আক্রান্তের সংখ্যা ৪২৭
সাম্প্রতিককালে চিনে নতুন করে আক্রান্তদের প্রায় প্রত্যেকেই বিদেশফেরত বলে জানিয়েছে চৈনিক সরকার। সরকারি সূত্র জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত বাইরে থেকে আসা আক্রান্তের সংখ্যা সর্বমোট ৪২৭। ইতিমধ্যে বেজিংমুখী সমস্ত উড়ানের গতিপথ বদলে অন্যান্য শহরে স্ক্রিনিংয়ের জন্যে পাঠানো হচ্ছে। অধিকাংশ শহর লকডাউনের আওতায় এবং নাগরিকরা গৃহবন্দি।জাতীয় সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমসের মঙ্গলবারের রিপোর্টে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সম্বন্ধে অবহিত করা হয়। 'গৃহবন্দি করার জন্যে অপর্যাপ্ত স্থান'-কে এর জন্যে দায়ী করা হয়।
এখনও পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ৩২৭৭
এখনও পর্যন্ত চিনে ৮১,০০০ আক্রান্ত ও ৩২৭৭জন মারা গেছেন বলে খবর।চিনের তৎপরতা ও বহিরাগতদের গৃহবন্দি করার সিদ্ধান্তের জন্যে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে উওহান এবং হুবেই প্রদেশে। জানুয়ারির প্রথম থেকে প্রায় ৫৬মিলিয়ন মানুষ গৃহবন্দি ছিলেন এই দুই শহরে। এ মাসের শুরুতেই চিন প্রেসিডেন্ট শি-জিনপিং উহান ঘুরে দেখেন। শহরের অন্যান্য প্রান্তেও যাতায়াত স্বাভাবিক হচ্ছে ধীরে ধীরে। কর্মক্ষেত্রে ও অন্যান্য জায়গায় যাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ থাকলেও স্বাভাবিক হচ্ছে চিনা জনজীবন।
করোনা মোকাবিলায় রেলযাত্রা স্থগিত ৩১ মার্চ পর্যন্ত, যাত্রীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা ভারতীয় রেলের