স্কটল্যান্ড থাকছে ব্রিটেনেই, গণভোটে রায় স্বাধীনতার বিপক্ষে
অর্থাৎ যুক্তরাজ্য বেঁচে গেল! এই বার্তা লন্ডনে পৌঁছতেই আনন্দে ফেটে পড়লেন ব্রিটিশ কর্তারা। গণভোটে স্কটল্যান্ডের মানুষ জানিয়ে দিলেন, তাঁরা গ্রেট ব্রিটেনের সঙ্গেই থাকছেন। স্কটল্যান্ডের ৩২টি কাউন্সিলে ভোট নেওয়া হয়েছিল। ৩১টির ফল ঘোষিত হয়েছে। ৫৫ শতাংশ মানুষ ব্রিটেনের সঙ্গে থাকার পক্ষে রায় দিয়েছেন। ৪৫ শতাংশ মানুষ স্বাধীনতার পক্ষে মতামত জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: দু'টুকরো হবে ব্রিটেন? উত্তর পেতে গণভোটের দিকে তাকিয়ে বিশ্ব
অথচ গতকাল পর্যন্তও ডাউনিং স্ট্রিটে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ছিল চরম উদ্বেগ। যদি স্কটল্যান্ড ব্রিটেন থেকে ভেঙে বেরিয়ে যায়, তা হলে কী হবে, এটা নিয়ে চলছিল জল্পনা। শুধু ডাউনিং স্ট্রিট নয়, গত কয়েক দিন ধরে রাস্তাঘাট, দোকান, পানশালা, ট্রেন-বাস সব জায়গাতেই আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল গণভোট। স্কটরা ব্রিটেনের সঙ্গে থাকলে কতটা লাভবান হবে, আলাদা হলেই বা কী কী হবে, তা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছিল।
বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে যখন পরিষ্কার হল যে, স্কটল্যান্ড ব্রিটেনের অংশ থাকছে, তখন শুধু লন্ডন নয়, সারা দেশে শুরু হয়ে গেল উৎসব। জাতীয়তাবাদীরা মিছিল করে, বিয়ার পান করে, গান গেয়ে মাতলেন আনন্দে। ভোটের ফলাফল পরিষ্কার হওয়ার পরই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। তিনি বলেন, "আসুন একসঙ্গে কাজ করে আরও ভালো, উজ্জ্বলতর ভবিষ্যৎ গড়ে তুলি। থ্যাঙ্ক ইউ ভেরি মাচ।"
<div id="fb-root"></div> <script>(function(d, s, id) { var js, fjs = d.getElementsByTagName(s)[0]; if (d.getElementById(id)) return; js = d.createElement(s); js.id = id; js.src = "//connect.facebook.net/en_GB/all.js#xfbml=1"; fjs.parentNode.insertBefore(js, fjs); }(document, 'script', 'facebook-jssdk'));</script> <div class="fb-post" data-href="https://www.facebook.com/DavidCameronOfficial/posts/846948598662793" data-width="466"><div class="fb-xfbml-parse-ignore"><a href="https://www.facebook.com/DavidCameronOfficial/posts/846948598662793">Post</a> by <a href="https://www.facebook.com/DavidCameronOfficial">David Cameron</a>.</div></div>
প্রসঙ্গত, জাতীয়তাবাদীদের পক্ষে পড়েছে ১৯,১৪,১৮৭টি ভোট। আর বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পক্ষে পড়েছে ১৫,৩৯,৯২০টি ভোট।
ফল জানার পর হার স্বীকার করে নিয়েছেন স্বাধীনতার প্রবক্তা তথা স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির প্রধান অ্যালেক্স স্যালমন্ড। দলের আর এক নেত্রী নিকোলা স্টারজিওন বলেছেন, তিনি ফলাফলে হতাশ। কিন্তু মানুষের রায় মাথা পেতে মেনে নিচ্ছেন।
ব্রিটেনের সবচেয়ে বড় তিনটি রাজনীতিক দল যথা কনজারভেটিভ পার্টি, লেবার পার্টি ও লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি প্রথম থেকেই স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার বিরোধিতা করে এসেছিল। গণভোটের আগে স্কটদের মন পেতে তারা আশ্বাস দিয়েছিল যে, আরও বেশি ক্ষমতা ও সুবিধা দেওয়া হবে স্কটল্যান্ডকে। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে অ্যালেক্স স্যালমন্ড বলেছেন, লন্ডন যেন প্রতিশ্রুতির কথা ভুলে না যায়। বরং এতদিন স্কটল্যান্ডকে যে অবহেলা করা হয়েছে, তা শুধরে নেওয়ার এটাই সুবর্ণ সুযোগ।
স্কটল্যান্ড, ইংল্যান্ড, ওয়েলস ও নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড নিয়ে গঠিত গ্রেট ব্রিটেন। ১৭০৭ সালে ইংল্যান্ডের সঙ্গে একত্রিত হয়েছিল স্কটল্যান্ড। বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে ব্রিটেন ও স্কটল্যান্ড উভয়েই নানা ধরনের জটিল সমস্যায় পড়ত।