Russia-Ukraine War: রাশিয়া ‘অপারেশন’ কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, নিরপেক্ষতার প্রস্তাব ইউক্রেনের
Russia-Ukraine War: রাশিয়া ‘অপারেশন’ কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, নিরপেক্ষতার প্রস্তাব ইউক্রেনের
রাশিয়া প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কিয়েভ এবং উত্তর ইউক্রেনীয় শহর চেরনিহিভের আশেপাশে তার সামরিক অভিযানকে ব্যাপকভাবে হ্রাস করবে। তবে ইউক্রেন দিয়েছে নিরপেক্ষতার প্রস্তাব। তারা চাইছে আন্তর্জাতিক গ্যারান্টি সহ নিরপেক্ষ অবস্থান। মঙ্গলবার শান্তি আলোচনায় রাশিয়া ও ইউক্রেন পরস্পর যুদ্ধ বিরতির দাবিতে পরস্পরবিরোধী বার্তা উঠে এসেছে।
এদিন শান্তি বৈঠকে ইউক্রেনীয় আলোচকরা বলেছেন, তারা এমন একটি অবস্থানের প্রস্তাব দিয়েছেন যেখানে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা থাকবে। এই অবস্থানে তাদের দেশ জোটে যোগদান করবে না বা বিদেশী সৈন্যদের ঘাঁটি স্থাপন করবে না। তবে ন্যাটোর সম্মিলিত প্রতিরক্ষা ধারায় 'অনুচ্ছেদ ৫'-এর মতোই নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
ইজরায়েল এবং ন্যাটো সদস্য কানাডা, পোল্যান্ড ও তুরস্ক তাদের এই ধরনের গ্যারান্টি দিতে সাহায্য করতে পারে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেন। ইউক্রেনীয় আলোচকরা ইস্তাম্বুলে সাংবাদিকদের বলেছেন যে প্রস্তাবগুলির মধ্যে রাশিয়া-অধিভুক্ত ক্রিমিয়ার অবস্থান নিয়ে ১৫ বছরের পরামর্শের সময়কাল অন্তর্ভুক্ত থাকবে এবং সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি হলেই তা কার্যকর হতে পারে।
রাশিয়ার উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলেকজান্ডার ফোমিন বলেছেন, রাশিয়া কিয়েভ এবং চেরনিহিভের কাছে যুদ্ধের ক্রিয়াকলাপে সক্রিয়তা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা চাইছে যুদ্ধ বিরতি রেখে আলোচনার রাস্তায় হাঁটতে। শীর্ষ রাশিয়ান আলোচক ভ্লাদিমির মেডিনস্কি জানিয়েছেন, তিনি ইউক্রেনের প্রস্তাবগুলি বিবেচনা করবেন এবং রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে রিপোর্ট করবেন। তারপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে রাশিয়া।
মঙ্গলবার ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত শান্তি আলোচনা হল। ১০ মার্চের পর উভয় পক্ষের মধ্যে প্রথম মুখোমুখি বৈঠক হয়। রাশিয়া ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে তার আগ্রাসন শুরু করে এবং তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়ে ইউক্রেনের। রাশিয়া ইউক্রেনের কোনও বড় শহর দখল করতে ব্যর্থ হয়।
ইউক্রেনের আলোচক ওলেক্সান্ডার চ্যালি বলেছেন, "যদি আমরা এই মূল বিধানগুলিকে একীভূত করতে পারি এবং এটি আমাদের জন্য সবথেকে মৌলিক ব্যাপার হবে। তাহলে ইউক্রেন প্রকৃতপক্ষে স্থায়ী নিরপেক্ষ দেশ হিসেবে অ-পরমাণু রাষ্ট্র হিসাবে তার বর্তমান অবস্থান স্থির করতে সক্ষম হবে।"
তিনি আরও বলেন, "আমরা আমাদের ভূখণ্ডে বিদেশি সামরিক ঘাঁটিগুলিকে মানব না এবং সেইসঙ্গে আমাদের ভূখণ্ডে সামরিক দল মোতায়েন করব না এবং আমরা সামরিক-রাজনৈতিক জোটে প্রবেশ করব না। এবং এই আলোচনায় গ্যারান্টার দেশগুলোর সম্মতি নিয়ে সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি।
ইউক্রেনের আলোচকরা বলেছেন যে ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে বৈঠকের নিশ্চয়তা দেওয়ার জন্য তাদের প্রস্তাবে যথেষ্ট উপাদান রয়েছে। এখন দেখার ইউক্রেনের এই প্রস্তাব পাওয়ার পর রাশিয়া কী ভূমিকা নেয়। তারা আপাতত যুদ্ধ কার্যকলাপ কমানোর বার্তা দিয়েছে। কিন্তু যুদ্ধ বিরতির কথা এখনও জানায়নি। তাঁরা ইউক্রেনের প্রস্তাবগুলি বিবেচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে।