Russia-Ukraine War: এই চার শর্ত মেনে নিলেই এখনই যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যাবে! বার্তা ক্রেমলিনের
ইউক্রেনের সঙ্গে ফের (Russia-Ukraine War) একবার আলোচনার রাস্তায় হাঁটতে চায় রাশিয়া। কিন্তু এজন্যে মস্কোর তরফে বেশ কিছু শর্ত রাখা হয়েছে। Kremlin-এর তরফে এক আধিকারিক আজ সোমবার বলেন, এক সেকেন্ডের মধ্যে রাশিয়া ইউক্রেনের উপর চল
ইউক্রেনের সঙ্গে ফের (Russia-Ukraine War) একবার আলোচনার রাস্তায় হাঁটতে চায় রাশিয়া। কিন্তু এজন্যে মস্কোর তরফে বেশ কিছু শর্ত রাখা হয়েছে। Kremlin-এর তরফে এক আধিকারিক আজ সোমবার বলেন, এক সেকেন্ডের মধ্যে রাশিয়া ইউক্রেনের উপর চলা সেনা অভিযান বন্ধ করে দিতে পারে।
যদিও কিভ মস্কোর তরফে দেওয়া শর্ত মেনে নেয় তাহলেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে ক্রেমলিনের তরফে। এখনও পর্যন্ত রাশিয়ার তরফে দেওয়া এটাই স্পষ্ট বার্তা।
রাশিয়া এবং ইউক্রেনের যুদ্ধের আজ ১২ দিন!
রাশিয়া এবং ইউক্রেনের যুদ্ধের আজ ১২ দিন! ভয়ঙ্কর এই যুদ্ধে এখনও পর্যন্ত রাশিয়া এবং ইউক্রেনের ভয়ঙ্কর ক্ষতি হয়েছে। এই দুই যুদ্ধে এক লক্ষেরও বেশি মানুষ দেশ ছাড়া হয়েছেন। United Nations-এর তরফে এক তথ্যে জানানো হয়েছে যে এখনও পর্যন্ত ইউক্রেনের ১৭ লাখ মানুষ সে দেশে ছেড়ে নিরাপদ জায়গাতে সরে গিয়েছেন।
শুধু তাই নয়, দুই দেশের লড়াইয়ে কয়েক হাজার সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়াও বহু শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আর সেখানে দাঁড়িয়ে রাশিয়ার তরফে এহেন বার্তা বার্তা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
কিন্তু কোনও চার শর্ত দেওয়া হল ইউক্রেনকে?
সেনা প্রত্যাহার করতে হবে- ক্রেমলিনের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বাস্তবিক ভাবে ইউক্রেনে demilitarisation সমাপ্ত করতে চাই। কিন্তু ইউক্রেনকে আগে তাঁদের সেনা অভিযান বন্ধ করতে হবে। একটাও যাতে ইউক্রেনের তরফে গুলি না চলে তা নিশ্চিত করতে হবে আগে। আর এরপরেই রাশিয়াও সে পথে হাঁটবে বলে ইঙ্গিত মস্কোর।
সংবিধান বদলাতে হবে ইউক্রেনকে- পুতিনের তরফে এক আধিকারিক আরও বলেন, ইউক্রেনকে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। স্পষত কথায় রাশিয়া চায় ইউক্রেন কখনই ন্যাটো কিংবা ইউরোপিয় ইউনিয়নের মতো সংগঠনের সঙ্গে না যুক্ত হয়।
Crimea-কে রাশিয়ার অংশ মানতে হবে- রাশিয়ার তরফে আরও বলা হয়েছে যে ইউক্রেনকে ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার একটি অংশ হিসাবেই স্বীকার করে নিতে হবে। ক্রেমলিন বলছেন, আমরা এই বিষয়ে আলোচনা সেরেছি। উল্লেখ্য রাশিয়া ২০১৪ সালেই ক্রিমিয়া দখল করে নিয়েছিল।
Donetsk এবং Lugansk-কে স্বাধীন দেশ হিসাবে মানতে হবে- ক্রেমলিনের তরফে জানানো হয়েছে যে Donetsk এবং Lugansk-কে স্বাধীন দেশ। আর সেই হিসাবেই কিভকে মানতে হবে। উল্লেখ্য, রাশিয়া ইউক্রেনের উপর হামলা চালানোর আগেই এই দুই দেশকে স্বাধীন বলে মান্যতা দিয়ে দিয়েছে। ওই আধিকারিকের মতে, ইউক্রেন এই চার শর্ত মেনে নিলে সঙ্গে সঙ্গে যুদ্ধ থেমে যাবে। যদিও এখনও ইউক্রেনের তরফে কোনও বক্তব্য জানানো হয়নি এই বিষয়ে।