Russia-Ukraine Crisis: রাশিয়ার বিপক্ষে কেন ভোট নয়, কী ব্যাখ্যা ভারতের?
সামরিক অভিযান ঘোষণা করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইতিমধ্যেই দুই দেশের সেনা সহ বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আর সেই যুদ্ধের মাঝেই প্রস্তাব আনল রাষ্ট্রসঙ্ঘ। রাশিয়ার বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়ে সেই প্রস্তাব আনা হয়েছে।
তিন দিন আগে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান ঘোষণা করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইতিমধ্যেই দুই দেশের সেনা সহ বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আর সেই যুদ্ধের মাঝেই প্রস্তাব আনল রাষ্ট্রসঙ্ঘ। রাশিয়ার বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়ে সেই প্রস্তাব আনা হয়েছে। ১১ টি দেশ সেই প্রস্তাবকে সমর্থন করে ভোট দিয়েছে।
আর সেই প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে রাশিয়া। তবে ভোট দেওয়া থেকে নিজেদের বিরত রেখেছে ভারত, চিন ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। কূটনীতির পথে ফেরার রাস্তা খোলা রাখার জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে ভারতের তরফে দাবি করা হয়েছে।
ইউক্রেনের উপর রাশিয়া যে সামরিক অভিযান চালিয়েছে, সেই হামলার বিরোধিতা করেই রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব পেশ করা হয়। নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে ভেটো দিয়েছে একমাত্র রাশিয়া। ভারত- চিনের সীমান্ত সংঘাত জারি থাকলেও রাশিয়া ইস্যুতে কার্যত দুই প্রতিবেশী দেশের অবস্থান একই।
আর সেই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে জার্মানি, ইতালি, পোল্যান্ড, এস্টোনিয়া, লাক্সেমবার্গ, নিউজিল্যান্ড সহ মোট ১১টি দেশ। রাশিয়া যে ভেটো দিয়েছে সেই প্রসঙ্গে আমেরিকার বক্তব্য, রাশিয়া চাইলে এই প্রস্তাবে বাধা দিতে পারে, কিন্তু তাতে কণ্ঠস্বর দমিয়ে রাখা যাবে না। ইউক্রেনের মানুষের উপর রাশিয়া ভেটো প্রয়োগ করতে পারবে না বলেও উল্লেখ করেছেন রাশিয়া।
এদিকে রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টিএস তিরুমূর্তি উল্লেখ করেছেন, ইউক্রেনে সাম্প্রতি যে ঘটনা ঘটেছে তাতে ভারত তাতে উদ্বিগ্ন। অবিলম্বে হিংসার পথ থেকে সরে আসার আবেদনও জানানো হয়েছে। ভারতের বক্তব্য, মানুষের জীবনের বিনিময়ে কখনও কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসে না। এই আবহে কূটনৈতিক আলোচনার পথ বন্ধ হওয়া হতাশাজনক বলেও মন্তব্য করা হয়েছে। কূটনীতির পথে ফেরার রাস্তা খোলা রাখার জন্য ভারত ভোটদান প্রক্রিয়ার থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবারই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ইউক্রেনে থাকা ভারতীয় পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়েও কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। সাংঘাতের কূটনৈতিক সমাধানের জন্য আবেদন জানিয়েছেন তিনিও। তিন। প্রধানমন্ত্রী বার্তা দিয়েছিলেন, যুদ্ধ থামিয়ে ন্যাটো সামরিক জোটের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করতে হবে। ইউক্রেন সরকারকে চিঠিও দিয়েছে ভারতের দূতাবাস। এই সমস্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনে একটি বৈঠকও হয়। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও সেই বৈঠকে ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল।