পাকিস্তানের এই শহর ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল সুনক পরিবারকে! রইল রোমহর্ষক সেই ইতিহাস
বাধ্য হয়েই পাকিস্তান ছেড়েছিলেন ঋষি সুনকের পূর্বসুরিরা! যে সুনক প্রথম ভারতীয় বংশদ্ভুত হিসাবে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হলেন। তাঁর পিতামহের পরিবার আসলে অবিভক্ত ভারতের নাগরিক ছিলেন। লাহোর থেকে কয়েক কিমি দূরে গুজরানওয়ালার শহরে
বাধ্য হয়েই পাকিস্তান ছেড়েছিলেন ঋষি সুনকের পূর্বসুরিরা! যে সুনক প্রথম ভারতীয় বংশদ্ভুত হিসাবে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হলেন। তাঁর পিতামহের পরিবার আসলে অবিভক্ত ভারতের নাগরিক ছিলেন। লাহোর থেকে কয়েক কিমি দূরে গুজরানওয়ালার শহরের বাসিন্দা ছিলেন তাঁরা। সেই শহরে গেলে আজও আঁচ পাওয়া যায় ইতিহাসের!
বলে রাখা প্রয়োজন, ঋষি সুনকের পিতামহ রামদাস সুনক গুজরানওয়ালা থেকে নাইরোবিতে চলে গিয়েছিলেন। কার্যত দেশ ভাগের সময় এক প্রকার বাধ্য হয়েই গুজরানওয়ালা ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। তবে এই ঘটনা একেবারে ১৯৩০ সালের আশেপাশের সময়কার। সেখানে ক্লার্কের কাজ শুরু করেন। অন্যদিক রামদাসের পত্নী রানি সুনক দিল্লিতে চলে আসেন। ১৯৩৫ সালে তিনি ভারতে আসেন। তবে এর পরবর্তীকালে তাঁর শাশুড়ির সঙ্গে কেনিয়া চলে যান।
তাঁদের ছয় সন্তান ছিল। সুনকের বাবা জসবিরের জন্ম হয় নাইরোবিতে। লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয়তে পড়াশুনা করেন জসবির। এরপর ১৯৭৭ সালে তাঁর বিয়ে হয়। ১৯৮০ সালে সাউদার্মটানে জন্ম হয় ঋষী সুনকের। গুজরানওয়ালা ইতিহাস ঘাটলে দেখা যাবে ওই অঞ্চলে সেই সময়ে বহু হিন্দু এবং শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস ছিল। এত টালমাটাল পরিস্থিতির পরেও আজ সেই সমস্ত মন্দির-গুরুদরাগুলি সেই জায়গাতেই দাঁড়ি আছে।
শোনা যায় ওই এলাকাতে যারা উচ্চ শ্রেণি এবং বৃত্তশালী ছিল তাঁদের বেশিরভাগই হিন্দু কিংবা শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ। তেমনই একটি পরিবার ছিল সুজন পরিবার। পরে দেশ ভাগের সময় ভারত থেকে বহু মুসলিম ওই গুজরানওয়ালাতে চলে যান। আর গুজরানওয়ালার পুরানো বাসিন্দাদের কার্যত দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়। আর সেই সময়েই নাইরোবিতে চলে যায় সুনকের দাদু। তাঁদের সেই সমস্ত বুপিল সম্পত্তি ভারত থেকে যাওয়া মুসলিমরাই কেড়ে নিয়েছিলেন বলে জানা যায়।
প্রসঙ্গত, ঋষি সুনকের বাবা ও মা দুজনেই ফার্মাসিস্ট ছিলেন। ১৯৮০ সালের ২১ মে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। তিনি উইনচেষ্টার কলেজে পড়াশোনা করেন। এরপরে তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দর্শন, অর্থনীতি ও রাজনীতি নিয়ে পড়াশোনা করেন।
এরপর স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফুলব্রাইট স্কলার হিসেবে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। সেই সময়ই তাঁর ইনসোসিসের প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তির মেয়ে অক্ষতা মূর্তির সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর দুজনের মধ্যে বিয়েও হয়। তবে আজ ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে ঋষি সুনক বসার পরেই কার্যত খুশি ভারত। পাশপাশি ঋষির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কারণে সন্তোষ প্রকাশ করেছে পাকিস্তানও।