'কাশ্মীর ইস্যুতে তৃতীয় পক্ষের নাক গলানোর দরকার নেই', মোদীকে পাশে নিয়ে গর্জন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের
'কাশ্মীর ইস্যুতে তৃতীয় পক্ষের নাক গলানোর দরকার নেই'
একদিকে ক্রমাগত মার্কিন প্রশাসন বলে চলেছে, কাশ্মীর ইস্যুতে ট্রাম্প মধ্যস্থতা করেত আগ্রহী, ঠিক তখনই ফ্রান্স থেকে উঠে এলো ঠিক এর বিপরীত বার্তা। মোদীর ফ্রান্স সফরের শুরুতেই ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে পাশে নিয়ে , ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট কাশ্মীর ইস্যু সহ একাধিক ইস্যুতে বক্তব্য রাখেন। একনজরে দেখে নেওয়া যাক প্রেসিডেন্ট ইমানুয়ের ম্যাকরন কী বলেছেন?
|
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের দাবি
প্যারিস থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে ফ্রান্সের অন্যতম স্বপ্নসুন্দর এলাকা শট্যা ডে শ্যন্টলিতে আয়োজিত হয়েছিল ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠক। বৈঠক শেষে মোদীকে পাশে নিয়ে বিভিন্ন ইস্যুতে একের পর এক বক্তব্য রাখেন ফ্রেঞ্চ প্রেসিডেন্ট। স্পষ্ট ভাষায় তিনি জানিয়ে দেন, কাশ্মীর নিয়ে ভারত -পাকিস্তানের আলোচনার বাইরে কোনও তৃতীয় পক্ষের আলোচনার প্রয়োজন নেই।
|
মৌ স্বাক্ষরের পর ফ্রান্সের বার্তা
ফ্রান্সের সঙ্গে এদিন একাধিক মৌ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। মনোরম পরিবেশে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠকের পরম্যাকরন বলেন, ' আমি বলেছি ওঁকে (মোদী), যে ভারত ও পাকিস্তানকে সমস্যাটি (কাশ্মীর) নিয়ে আলোচনা করতে হবে। কোনও তৃতীয় পক্ষের এতে নাক গলানো উচিত নয়, তাতে হিংসা বাড়তে পারে। '
|
পাকিস্তানকে বার্তা ফ্রান্সের
এদিন ফ্রেঞ্চ প্রেসিডেন্ট সাফ বলেন, এরপর তিনি পাকিস্তানের রাষ্ট্রনেতা ইমরান খানের সঙ্গেও বৈঠকে বসবেন।সেখানে পাকিস্তানকেও ভারতের সঙ্গে আলোচনার কথা বলা হবে। প্রসঙ্গত, পাকিস্তান ইতিমধ্যেই বারতের সঙ্গে যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। ফলে, কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির পর থেকে বন্ধ রয়েছে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার রাস্তা।
|
ফ্রান্সের মাটিতে দাঁড়িয়ে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে সরব মোদী
মোদী এদিন ফ্রেঞ্চ প্রেসিডেন্টকে পাশে নিয়ে সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে সরব হয়ে বলেন, 'আমাদের দুটি দেশই সন্ত্রাসবাদের সমস্যার মুখোমুখি। সীমান্ত পারের সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় আমরা সমর্থন পেয়েছি ফ্রান্সের। তার জন্য আমি ফ্রেঞ্চ প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানাই। আমার নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় আলোচনার রাস্তা আরও প্রশস্ত করছি।' প্রসঙ্গত, এই বারই প্রথম ফ্রান্সের থেকে ৩৬ টি রাফাল জেট ভারতে আসছে আগামী মাসে।