গন্ধের অনুভূতি হারিয়ে ফেলাও করোনার লক্ষণ হতে পারে,বলছে গবেষণা
গন্ধের অনুভূতি হারিয়ে ফেলাও করোনার লক্ষণ হতে পারে,বলছে গবেষণা
সারা বিশ্ববাসী ইতিমধ্যেই করোনা সংক্রমণের প্রাথমিক লক্ষ্মণ গুলো সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। করোনার লক্ষণগুলির মধ্যে অন্যতম জ্বর, শুষ্ক কাশি, গলাব্যথা, শ্বাসকষ্ট, ক্ষেত্রবিশেষে ডায়রিয়া। কিন্তু এইবার গবেষণায় উঠে এলো করোনার লক্ষণ সম্পর্কে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। গবেষণা বলছে, গন্ধের অনুভূতি হারিয়ে গেলেও তা করোনার লক্ষণ হতে পারে।
জেনে নিন, কী বলছে গবেষণা?
আক্রান্ত মা বাচ্চার ডাইপারের গন্ধ বুঝতে পারছিলেন না, অথবা গন্ধেই যে বলে দিতে পারতেন খাবারে ব্যবহৃত সমস্ত মশলার নাম তিনিও চিনতে পারছেন না আদা রসুনের গন্ধ, শ্যাম্পুর মিষ্টি গন্ধের অনুভূতিও ফিকে হয়ে যাচ্ছে তার নাকে। সম্প্রতি একটি গবেষণার পর ব্রিটিশ অ্যাসোসিয়েশন অফ অটোরহিনোলারিনগোলজি জানায়, প্রচলিত বিভিন্ন উপসর্গ ছাড়াও কেউ যদি হঠাৎ স্বাদ ও গন্ধের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন তবে তা আশঙ্কার কারণ। কারণ এ দুটি লক্ষণও করোনা ভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ হতে পারে।
সংক্রামিত চিকিৎসকের উপর সমীক্ষা করেই উঠে এল এই তথ্য
সূত্রের খবর, রোগীদের চিকিৎসা করতে গিয়েই কিছুদিন আগে যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা বা এনএইচএস বিভাগের দুই চিকিৎসক সংক্রমিত হন।পরবর্তীতে তাদের উপর সমীক্ষা চালিয়েই জানা যায় স্বাদ ও গন্ধ অনুভবের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলাও করোনা সংক্রমনের উপসর্গ হতে পারে।
নতুন লক্ষ্মণ দেখা দিলেই আইসোলেশনের পরামর্শ চিকিৎসকদের
করোনা ভাইরাস সাধারণত চোখ, নাক, গলা দিয়েই প্রবেশ করে। অ্যাসোসিয়েশন অব অটোরহিনোলারিনগোলজি জানায়, আমরা একটি নতুন লক্ষণ শনাক্ত করেছি। কিছু আক্রান্তের ক্ষেত্রে জ্বর বা অন্য কোনো উপসর্গ না থাকলেও স্বাদ ও গন্ধের অনুভূতি হ্রাস পেতে পারে। এক্ষেত্রে তাদের উচিৎ নিজেদের আইসোলেশনে রাখা, যাতে আক্রান্ত ব্যক্তির মাধ্যমে এই ভাইরাস অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে না পড়ে।এই প্রতিষ্ঠানের অন্যতম ইএনটি বিশারদ অধ্যাপক নির্মল কুমারম বলেন,‘অপেক্ষাকৃত তরুণ আক্রান্তদের মধ্যে জ্বর, কাশির মতো উপসর্গগুলো প্রকাশ না-ও পেতে পারে; কিন্তু তারা হঠাৎই স্বাদ ও গন্ধের অনুভূতি হারিয়ে ফেলতে পারেন। যা ইঙ্গিত করে ওই ব্যক্তির নাকে ভাইরাস প্রবেশ করেছে।'