হু হু করে বাড়ছে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম, বন্ধ হতে পারে ব্রিটেনের বহু পাব
Array
তাপবিদ্যুতের দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে গিয়েছে ব্রিটেনে। পাশাপাশি বাড়ছে গ্যসের দাম। আর এর ফলে মহা সমস্যায় পড়েছে ব্রিটেনের বহু পাব। অনেকগুলি এমন মাশুল বৃদ্ধির ধাক্কা সামলাতে না পেড়ে বন্ধ করতে বাধ্য হতে পারে। সরকারকে এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে।
বন্ধ হতে পারে বহু পাব
দেশের ছয়টি বৃহত্তম পাব এবং ব্রিউইং ফার্ম বলেছে যে কিছু পাবের এই বছরের বিল তিনগুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ মানুষের জীবনযাত্রার খরচ বাড়তেই বেড়েছে পাবের খরচ তার সঙ্গে আবার এই বিদ্যুৎ বিলের বর্ধিত হার। সবমিলিয়ে তাঁদের অবস্থা খুবও শোচনীয়। তাই খরচ সামলাতে সমস্যা হচ্ছে পাব মালিকদের। সরকার ব্যবস্থা না নিলে তাঁরা পাব বন্ধ করেও দিতে পারেন বলে খবর মিলছে।
জেডব্লিউ লিস পাব গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর উইলিয়াম লিস জোনস বলেন, "আমাদের ৩০০ শতাংশ- শক্তির খরচ বৃদ্ধির হয়েছে এবং কিছু ইলেকট্রিক্ল কোম্পানি সরবরাহের জন্য উদ্ধৃতি দিতেও অস্বীকার করছে। কিছু ক্ষেত্রে, ভাড়াটেরা আমাদের নোটিশ দিচ্ছে কারণ তাদের ব্যবসা এই খরচে সামলাতে পারছে না। তাই আমাদের অবস্থা খুব খারাপ।"
প্রধান নির্বাহী নিক ম্যাকেঞ্জি বলেছেন, "২৭০০-শক্তিশালী গ্রিন কিং গ্রুপের একজন পাব ভাড়াটের এই বছর তাদের এনার্জি বিল ৩৩ হাজার ইউরো বৃদ্ধি পেয়েছে।
সরকারের কাছে আবেদন
সরকার পরিবারগুলিকে দামের এই বৃদ্ধির সাথে মোকাবিলা করতে সহায়তা করার জন্য ব্যবস্থা চালু করেছে কিন্তু যাদের ব্যবসা রয়েছে তাঁদের একাই এর মুখোমুখি হতে হবে এবং শরত্কালে এটি আরও খারাপ হতে চলেছে৷ পাবগুলি তাদের বিল পরিশোধ করতে অক্ষম হয়ে যেতে পারে। চাকরি হারিয়ে ফেলতে পারে বহু মানুষ। যার অর্থ মহামারী চলাকালীন পাবগুলি খোলা রাখার জন্য করা সমস্ত ভাল কাজ নষ্ট হতে পারে।
মুদ্রাস্ফীতি
ব্রিটেনের জীবনযাত্রার সঙ্কটের কারণে মুদ্রাস্ফীতি ৪০ বছরের সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছে। এদিকে মানুষের বেতনের পরিমাণ বাড়ছে না। এদিকে সব জিনিষের দাম হু হু করে বাড়ছে। ফলে সামঞ্জস্য থাকছে না এবং এর ফলে মানুষের সমস্যা বাড়ছে বই কমছে না। গত সপ্তাহে শক্তি নিয়ন্ত্রক দফতর অক্টোবর থেকে গড় পরিবারের জন্য গ্যাস এবং বিদ্যুতের দাম ৮০-শতাংশ বৃদ্ধির ঘোষণা করেছে, জানুয়ারি থেকে আরও বেশি দাম হতে পারে।
সামাজিক জীবনের প্রধান ভিত্তি
আসলে
টিশ
সামাজিক
জীবনের
একটি
প্রধান
ভিত্তি
এই
পাবগুলি।
করোনভাইরাসের
জেরে
লকডাউন
এবং
সামাজিক
দূরত্বের
বিধিনিষেধের
কারণে
ব্যবসায়
মন্দা
সহ
কয়েক
বছর
ধরে
ব্যাপক
সমস্যা
সম্মুখীন
ছিল
এই
পাবগুলি।
তার
মধ্যে
আবার
এই
নয়া
সমস্যা।
ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে পাবের সংখ্যা এই বছরের প্রথম ছয় মাসে প্রথমবারের মতো ৪০ হাজারের-এর নীচে নেমে গিয়েছে, যা এক দশকে ৭ হাজারেরও বেশি কমে গিয়েছে। ব্রিটিশ বিয়ার অ্যান্ড পাব অ্যাসোসিয়েশন, এবলেছে যে পাইকারি খরচ বৃদ্ধির কারণে এবং ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে সরবরাহে চাপের কারণে শক্তির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এ নিয়ে যদি কিছু না করা হয় তবে মহামারীর চেয়ে এই সেক্টরে আরও বেশি ক্ষতি হতে পারে। রেস্তোঁরা এবং টেকওয়ে সহ অন্যান্য আরও এমন সংস্থাও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
রাশিয়া থেকে সাদা মাছ আমদানিতে শুল্ক বৃদ্ধি এবং ইউক্রেন থেকে উদ্ভিজ্জ তেলের সরবরাহ হ্রাসের কারণে ভাজা খাবারের দাম বেড়েছে। সোমবার, ৭৫০ টিরও বেশি আউটলেট সরকারকে একটি খোলা চিঠিতে স্বাক্ষর করে সতর্ক করে যে খাদ্যের মূল্য এবং জ্বালানি মূল্যস্ফীতি, সেইসাথে কর্মীদের অভাব নিয়ে জানিয়েছে।