১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের ওপর কার্যকর কোভিড ভ্যাকসিন, ঘোষণা ফাইজারের
১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের ওপর কার্যকর কোভিড ভ্যাকসিন
১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের ওপর কোভিড–১৯ ভ্যাকসিন সুরক্ষিত ও তাদের কড়াভাবে প্রতিরোধ করছে বলে বুধবার ঘোষণা করেছে ফাইজার। প্রসঙ্গত, আমেরিকান সংস্থা ফাইজার-বায়োএনটেক ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের উপর করোনার ভ্যাকসিন পরীক্ষা করা শুরু করে। স্কুল শুরু হওয়ার আগে যাতে শিশুদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে এটা তারই উদ্যোগ। সংস্থাটি আশা করছে যে টিকা দেওয়ার বয়সসীমা ২০২২ সালের মধ্যে বাড়ানো যাবে।
১২–১৫ বছর শিশুদের ওপর ট্রায়াল
বিশ্বজুড়ে অধিকাংশ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কর্মসূচি মূলতঃ প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যই, যাঁদের করোনা ভাইরাস থেকে উচ্চতর ঝুঁকি রয়েছে। ফাইজার ভ্যাকসিন ১৬ বছর বা তার বেশি বয়সের জন্য অনুমোদিত। তবে মহামারি রোধ করতে ও স্কুলগুলিকে সহায়তা করতে সব বয়সের শিশুদের টিকাকরণ করা, আর কিছুমাস পর হলে তা স্বাভাবিক হবে। সমীক্ষায়, ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী ২,২৬০ জন শিশুদের বেছে নেওয়া হয়েছিল স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে, যাদের কোভিড-১৯-এর কেস নেই, এদের মধ্যে ১৮ জনকে ডামি শট দেওয়া হয় বলে রিপোর্টে বলা হয়েছে।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে
এটা খুবই ছোট একটি অধ্যয়ন, যা এখনও প্রকাশিত হয়নি, তাই এই শটগুলি শিশুদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কতটা বাড়িয়েছে তা জানা যায়নি। গবেষকরা জানিয়েছেন যে প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুদের অ্যান্টিবডিগুলি বেশি মাত্রায় গঠন হয়েছে শরীরে। ফাইজার এও জানিয়েছে যে প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই শিশুদের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। প্রধান পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হল ব্যাথা, জ্বর, ঠাণ্ডা লাগা ও বমি বমি ভাব। তবে এটা দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর হয়। দীর্ঘমেয়াদী সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা সম্পর্কে আরও তথ্যের জন্য এই সমীক্ষাটি দু'বছর ধরে অংশগ্রহণকারীদের অনুসরণ করতে থাকবে।
১৬ এবং ১৭ বছরের ওপর ব্যবহৃত হচ্ছে
বর্তমানে শুধুমাত্র ফাইজার / বায়োএনটেক ভ্যাকসিনটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৬ এবং ১৭ বছরের বাচ্চাদের ব্যবহৃত হচ্ছে। মারডানার ডোজটি ১৮ বছর বা তার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন অনুমোদিত হয়নি। ফাইজার এবং বায়োএনটেক পরবর্তী সময়ে তরুণদের মধ্যে অ্যান্টিবডি স্তর পরিমাপ করে এই ট্রায়ালটি প্রসারিত করার পরিকল্পনা করেছে, এবং ভ্যাকসিন দ্বারা নাগরিকদের সুরক্ষা, সহনশীলতা এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা পরীক্ষা করবে বলে জানা গিয়েছে। কাস্টিলো বলেন যে,ফাইজার ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সের শিশুদের মধ্যে এই ভ্যাকসিন পরীক্ষা করছে। ২০২১ সালের দ্বিতীয়ার্ধে এই ট্রায়ালের আশানুরূপ রিপোর্ট পাওয়া যাবে।
ফাইজার–বায়োএনটেককে অনুমোদন
ডিসেম্বরের শেষের দিকে ফাইজার-বায়োএনটেক করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনে অনুমোদন দিয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নের ড্রাগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা । তারা এও জানায়, এই ভ্যাকসিন ব্রিটেনে পাওয়া করোনা ভাইরাসের নতুন স্ট্রেনের বিরুদ্ধে কাজ করবে না এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় নি ৷ তারপর কয়েক দিনের মধ্যেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশ জুড়ে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়।২০২১কে সুরক্ষিত রাখতে ফাইজার ভ্যাকসিন ব্যবহারের জরুরিকালীন অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। হু-এর এই অনুমোদনের ফলে অনেক দেশই উপকৃত হয়েছে।
হাইভোল্টেজ নন্দীগ্রাম, একেবারে শেষলগ্নে বাম প্রার্থী মীনাক্ষীর নিরাপত্তা বাড়াল কমিশন