একের পর এক পাম্পে দ্রুত শেষ হয়ে যাচ্ছে পেট্রোল, লম্বা গাড়ির লাইন! সেনা নামানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
হঠাৎ করেই পেট্রোল পাম্প থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে তেল। তেল কিনতে হন্যে হয়ে ঘুরছেন সাধারণ মানুষ। এমনই অবস্থা ব্রিটেনে। পরিস্থিতির এতটাই অবনতি হয়েছে যে সেনা নামাতে বাধ্য হয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি নির্দেশ
হঠাৎ করেই পেট্রোল পাম্প থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে তেল। তেল কিনতে হন্যে হয়ে ঘুরছেন সাধারণ মানুষ। এমনই অবস্থা ব্রিটেনে। পরিস্থিতির এতটাই অবনতি হয়েছে যে সেনা নামাতে বাধ্য হয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন অবিলম্বে যেন পেট্রল পাম্পগুলি তেল সাপ্লাই এর ব্যবস্থা করা হয়।
অন্তত শতাধিক সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সেই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে অপারেশন এসকালিন। আসলে বৃটেনের বি পি ও এস নামে দুই সংস্থা তেল সরবরাহ করা বন্ধ করে দিয়েছে। এই দুটি সংস্থা থেকে বেশিরভাগ পেট্রোল পাম্পে তেল সরবরাহ করা হতো। লরি চালক এর অভাবে সেই সংস্থাগুলি তেল সরবরাহ করা বন্ধ করে দিয়েছে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জণসন নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে অন্তত তিনটি পেট্রলপাম্প এর মধ্যে একটিতে পেট্রোল করার ব্যবস্থা করা হয় দ্রুত। গতকাল পেট্রোল রিটেলার এ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ব্রিটেনে জানিয়ে দেওয়া হয় সাড়ে পাঁচ হাজার পেট্রোলের বাংকে পেট্রোল ফুরিয়ে গিয়েছে। বাকিগুলো দ্রুত খালি হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে ওই সংগঠন।
এই খবর প্রকাশ আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ব্রিটেনজুড়ে। দ্রুত পেট্রোল কেনার ধুম পড়ে গিয়েছে। এমতো অবস্থায় সরকারের তরফ থেকে কিছু জরুরী নির্দেশিকা জারি করতে হয়। জানা গেছে মূলত লরি চালক এর অভাবে পেট্রোল সাপ্লাই দেওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
তবে সাধারণ মানুষ উহু করে তেল কিনতে শুরু করে দেওয়ায় সংকট দেখা দিয়েছে আরো বেশি। পরিস্থিতি সামাল দিতে করা হাতে নিয়ন্ত্রণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ব্রিটিশ সেনা বাহিনীকে।
ব্রিটেনে বেশ কয়েকদিন ধরে লরি চালকদের বেশ সমস্যা চলছে। হাজার হাজার লরি চালক কাজে আসছে না। ফলে সে দেশে তীব্র সঙ্কট তৈরি হয়েছে। ভিসা দেওয়াকে কেন্দ্র করে সমস্যার সূত্রপাত বলে জানা গিয়েছে। যদিও লরি চালকদের সংগঠনের আধিকারিকরা সতর্ক করে বলেছেন, এই পদক্ষেপেও তাদের ব্রিটেনের দিকে আকৃষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা কম। ব্রেক্সিট এবং করোনা মহামারির কারণে এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
যদিও দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। তবে এভাবে লরি চালকরা কাজে না আসে তাহলে আগামিদিনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা সরকারি আধিকারিকদের। তবে পাম্পগুলিতে তেল না থাকার কারনে একের পর এক সে দেশে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। আর যেগুলিতে রয়েছে সেখানে দ্রুত তেল শেষ হয়ে যাচ্ছে।
কারন একেবারে লাইন পড়ে গিয়েছে গাড়িতে তেল ভরার। একাংশের আশঙ্কা, পাম্পগুলি যদি এভাবে চলতে থাকে বড়াড় ধাক্কা লাগবে গণপরিবহণে। এমনকি সে দেশে পরিবহণ ব্যবস্থা স্তব্ধ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা। যদিও সেনা নামিয়ে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেনাবাহিনীর গাড়ীগুলিকে তেল ভরার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, অন্যান্য ক্ষেত্রেও গাড়িগুলি ব্যবহার করা হচ্ছে।