সন্ত্রাসের আবহে পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন, কড়া নিরাপত্তায় শুরু ভোটগ্রহণ
কড়া নিরাপত্তায় পাকিস্তানে শুরু হয়ে ভোট গ্রহণ। সাধারণ নির্বাচনকে ঘিরে পাকিস্তানকে কার্যত নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে।
কড়া নিরাপত্তায় পাকিস্তানে শুরু হয়েছে ভোট গ্রহণ। সাধারণ নির্বাচনকে ঘিরে পাকিস্তানকে কার্যত নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। তবে, সন্ত্রাসের আতঙ্ক থেকে রেহাই নেই পাকিস্তানিদের। নির্বাচনী প্রক্রিয়া চলাকালীন একাধিক জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে। সেই কারণে আজও পাকিস্তানে নিরাপত্তার কড়াকড়ি। তৈরি রাখা হয়েছে এক হাজার সমাধি ক্ষেত্রকে।
আশা করা হচ্ছে আজ ১০৫.৯৫ মিলিয়ন ভোটদাতাদের মধ্যে অন্তত ৭০ শতাংশ মানুষ ভোট দেবেন। পাকিস্তানে এবারের সাধারণ নির্বাচনের মোট ভোটদাতাদের মধ্যে ৫৯.২ মিলিয়ন পুরুষ ভোটদাতা। আর মহিলা ভোটদাতাদের সংখ্যা ৪৬.৭ মিলিয়ন।
সাধারণ নির্বাচন নিয়ে এবার পাকিস্তানে প্রবল উত্তেজনা রয়েছে। বহুদিন পরে এই দেশে এমন একটি নির্বাচন হচ্ছে যেখানে স্পষ্ট করে কোন দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার কথা বলা যাচ্ছে না। ভোটযুদ্ধে প্রবল লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন ও ইমরান খানের পিটিআই-এর মধ্যে। তবে লড়াই রয়েছে বেনজির ভুট্টোর পিপিপি-ও।
এখন পর্যন্ত যা খবর ৭.৫ লক্ষ নিরাপত্তারক্ষীকে ভোটকেন্দ্রগুলিতে মোতায়েন করা হয়েছে। পাকিস্তানের ভোটযুদ্ধে এবার লড়াই করছেন ৩,৪৫৯ জন। এদের মধ্যে ১৭১ জন মহিলা প্রার্থী। সন্ত্রাস নিয়ে ভোটের আবহাওয়া এতটাই উত্তপ্ত যে সতেরো হাজার বুথকে স্পর্শকাতর বলে ঘোষণা করা হয়েছে। ভোটকেন্দ্রগুলিতে বসানো হয়েছে সিসিটিভি।
সন্ত্রাসের দাপট এবার কতটা তা বোঝা যাচ্ছে মৌলবাদী সংগঠন ও লস্কর প্রধান হাফিজ সইদদের দেওয়া প্রার্থীদের সংখ্যা দেখে। হাফিজ সইদ ও মৌলবাদী সংগঠনগুলি ৪৬০জনেরও বেশি প্রার্থী দিয়েছেএবারের ভোটে। বলা হচ্ছে এর আগে এত সংখ্যক প্রার্থীকে ভোটে দাঁড় করায়নি পাকিস্তানের মৌলবাদী সংগঠনগুলি। প্রত্যেক প্রদেশেই হাফিজ সইদের দাঁড় করানো প্রার্থীদের সংখ্যা আগের বারের সংখ্যাকে ছাপিয়ে গিয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
মনে করা হচ্ছে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন জয়ের যাবতীয় চাবিকাঠি লুকিয়ে রয়েছে পঞ্জাব প্রদেশে। মোট ৩৪২টি আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৮৩টি আসনই রয়েছে পঞ্জাবে। পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যার ৫০ শতাংশই এখানে বাস করেন।
যদিও, এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় প্রভাবিত দল নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন। কিন্তু, ইমরান খানের দল পিটিআই পঞ্জাব প্রদেশের বেশ কিছু আসনে পিএমএল-এন-কে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে।
২০১৩ সালে পিএমএল-এন ১৭০টি আসনে জয় পেয়েছিল। জোটের সঙ্গে এই আসন সংখ্যা পৌঁছেছিলো ১৮৯-এ। পিপিপি পেয়েছিল ৪৫টি, পিটিআই ৩৩ ও অন্যান্যরা ৯৪টি আসন।
পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে অবশ্য একটা কথা জোরসে শোনা যাচ্ছে। আর তা হল এবার ইসলামাবাদের সিংহাসনে বসতে চলেছে ইমরান খানের পিটিআই। খোদ পাক সেনাবাহিনী তাঁদের মদত দিচ্ছে বলেও দাবি করা হয়েছে। আজ রাত থেকেই পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের ফল ঘোষণা শুরু হবে।