ফের অস্বস্তিতে পিটিআই প্রধান, পাকিস্তানের পরবর্তী সেনা প্রধান নিয়োগে ইমরান খানের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান
ফের অস্বস্তিতে পিটিআই প্রধান, পাকিস্তানের পরবর্তী সেনা প্রধান নিয়োগে ইমরান খানের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান
পরবর্তী সেনা প্রধান নিয়োগে ইমরান খানের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করল পাক প্রশাসন। শনিবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ জানান, পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফের প্রধান ইমরান খান উত্তরসূরী নির্বাচনের একটি প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে। পাকিস্তানের বর্তমান সেনা প্রধান কামার জাভেদ বাজওয়া। ইমরান খান পাক সেনাবাহিনীকে বার বার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভিযুক্ত করেন। অন্যদিকে, ইমরান খান যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, সেনাবাহিনীর সঙ্গে ইমরান খান প্রশাসনের সক্রিয় যোগ আছে বলে বিরোধীরা অভিযোগ করেন।
ইমরান খান কী প্রস্তাব দিয়েছিলেন
২০১৬ সালে জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া সেনা প্রধান হয়েছিলেন। ২০১৯ সালে তাঁর মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। সেই সময় পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তাঁর মেয়াদ আরও তিন বছরের জন্য বাড়িয়ে দেন। ২০২২ সালে বাজওয়ার সেনা প্রধানের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে ইমরান খান পাক প্রশাসনের কাছে একটি প্রস্তাব দেয়, সেখানে জানানো হয়, পিটিআই পরবর্তী সেনা প্রধানের জন্য তিন জনের নাম পাঠাবে। সরকারও তিন জনের নাম মনোনীত করবে। সেখান থেকে একজনকে সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ করা হবে। যদিও উভয়ের ক্ষেত্রেই একটি নাম থাকে, সেক্ষেত্রে তাঁকে সেনা প্রধান নিয়োগ করা হবে। শনিবার পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ স্পষ্টভাবে ইমরান খানের প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছেন।
ইমরান খানের অভিযোগ
ইমরান খান জানান, তিনি যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, বার বার বিরোধীরা অভিযোগ করেছিলেন, তিনি নাকি পছন্দের সেনা প্রধান আনতে চাইছেন। কিন্তু এপ্রিল মাসে ইমরান খান পদচ্যুত হওয়ার পর সমীকরণ পাল্টে গিয়েছে। ইমরান খান অভিযোগ করেছেন, পাক মন্ত্রীদের যাতে চুরি করতে সুবিধা হয়, সেই কারণেই তাঁরা নিজেদের পছন্দের সেনা প্রধান আনতে চলেছেন।
ইমরান খানের সঙ্গে সেনা যোগ
২০১৮ সালে সাধারণ নির্বাচনে যখন প্রথমবারের জন্য পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ বা পিটিআই ক্ষমতায় আসেন, বিরোধীরা সেনা যোগের অভিযোগ করেছিলেন। সেই সময় বিরোধীরা অভিযোগ করেন, সেনাবাহিনী প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে পিটিআইকে ক্ষমতায় আনার জন্য। যদিও ইমরান খান ও পাকসেনাবাহিনী এই অভিযোগ বার বার অস্বীকার করেছে। অন্যদিকে, পদচ্যুত হওয়ার পর ইমরান খান বার বার অভিযোগের আঙুল পাক সেনাবাহিনীর দিকে তুলেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, পাক সেনাবাহিনীর মদতে বিরোধীরা তাঁকে পদচ্যুত করেছে।
সেনাবাহিনীর পাল্টা অভিযোগ
ইমরান খান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ নিয়ে আসে। দেশের মানুষের কাছে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি খারাপ হচ্ছে বলে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের প্রধান। তিনি ব্যতিক্রমি ঘটনা ঘটিয়ে সংবাদিক সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় ইমরান খান পাক সেনাবাহিনীক কাছে অবৈধ ও অসংবিধানিক প্রস্তাব দেন। সেটি পাক সেনাবাহিনী প্রত্যাখ্যান করে। তবে ইমরান খান কী প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তা তিনি স্পষ্ট করেননি।
আরও চাকরি যেতে চলেছে টুইটারে! মাস্কের চাঞ্চল্যকর সিদ্ধান্তে ঘুম উড়ছে কর্মীদের