ভারতীয় সিনেমার ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ পাকিস্তানে
এ দেশে ভারতীয় সিনেমা প্রবল জনপ্রিয়। এখানকার সিনেমা হলগুলিতে ভারতের সিনেমা দেখতে ভিড় উপচে পড়ে। এর ফলে দেশীয় সিনেমা মার খাচ্ছে বলে অভিযোগ। টিভি সিরিয়াল নির্মাতা মুবশির লুকমান আদালতে মামলা ঠুকে বলেছেন, পাকিস্তানের নিয়মানুসারে, যে সিনেমার শুটিং পুরোটাই ভারতে হয়েছে এবং ভারতের কেউ প্রযোজনা করেছে, তা এখানকার মাটিতে দেখানো যাবে না। তাঁর আরও দাবি, কাগজপত্র জাল করে দেখানো হচ্ছে যে, সব ভারতীয় সিনেমার প্রযোজনা করেছে কোনও না কোনও পাকিস্তানি। এই প্রবণতা বন্ধ হোক।
সব শুনে বিচারপতি প্রাথমিকভাবে মামলাকারীর সঙ্গে একমত হন। তিনি সেন্সর বোর্ডের জবাব চেয়ে পাঠিয়েছেন। প্রসঙ্গত, ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানে ভারতীয় সিনেমার অবাধ গতিবিধি ছিল। যুদ্ধের পর তা বন্ধ হয়ে যায়। অবশ্য সরকারিভাবে তা বন্ধ হলেও চোরাপথে যথারীতি তা সীমান্ত পার হয়ে এ দেশে চলে আসতে থাকে। ২০০৬ সালে পারভেজ মুশারফ প্রথম সরকারিভাবে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেন। কারণ, তিনি নিজেও ভারতীয় সিনেমার একজন ভক্ত। ফলে, পাকিস্তানের ধুঁকতে থাকা সিনেমা হলগুলি আবার চাঙ্গা হয়ে ওঠে। এমনকী, নতুন নতুন মাল্টিপ্লেক্সও তৈরি হয়। ইসলামাবাদ আর লাহোরের প্রেক্ষাগৃহগুলিতে শুধু ভারতীয় সিনেমার ঢাউস পোস্টার। আর তাতে স্বাভাবিকভাবেই ভাত মারা যাচ্ছিল এ দেশের কিছু লোকের!
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে অত্যধিক ভারতীয় সিনেমা-সিরিয়াল প্রদর্শনের দায়ে পাকিস্তানের দশটি টিভি চ্যানেলকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হয়েছে। এবার আদালতের খড়্গ। যদি এখানে পাকাপাকিভাবে ভারতীয় সিনেমার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয়, তা হলে ফের প্রেক্ষাগৃহগুলি ঝাঁপ ফেলতে বাধ্য হবে।