মুখে বড় বড় বুলি আওড়ালেও ভারত থেকে ওষুধ আমদানিতে মানা নেই পাকিস্তানের
কাশ্মীর সিদ্ধান্তের পরে ভারতের সঙ্গে সবরকম বাণিজ্য বন্ধ করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল পাক সরকার। মাস ঘুরতে না ঘুতেই শিথিল করল সিদ্ধান্ত।
কাশ্মীর সিদ্ধান্তের পরে ভারতের সঙ্গে সবরকম বাণিজ্য বন্ধ করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল পাকিস্তান সরকার। মাস ঘুরতে না ঘুরতেই ইমরান খান শিথিল করলেন সেই সিদ্ধান্ত। রোগীদের কথা ভেবে ভারত থেকে প্রাণদায়ী ওষুধের আমদানী বাণিজ্য ফের শুরু করায় সম্মতি জানিয়েছে ইমরান সরকার।
প্রাণদায়ী ওষুধের আমদানিতে ছাড়
প্যাচে পড়লে যে সব হুমকি আর হুঙ্কার উবে যায় সেটা আবারও প্রমাণ হয়ে গেল পাক সরকারের বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞার নীতি শিথিল করার ঘটনা। দেশের রোগীদের বাঁচাতে শেষ পর্যন্ত ভারত থেকে ওষুধ আমদানিতে ছড়পত্র দিলেন ইমরান। পাক বাণিজ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করে একথা জানানো হয়েছে। ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করে দেওয়ায় পর থেকে চিকিৎসা পরিষেবায় সংকট দেখা দেয়। কারণ পাকিস্তানে অধিকাংশ জীবনদায়ী ওষুধ সরবরাহ করে ভারত। তারপরেই নির্দেশিকা বদল করা হয়। সূত্রের খবর ২০১৯ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত শুধুমাত্র পাকিস্তানে ১.৩৬ বিলিয়ন টাকার ওষুধ রপ্তানি করেছে ভারত।
চিকিৎসায় ভারতের উপর নির্ভরশীল পাকিস্তান
চিকিৎসা পরিষেবায় যে ভারতের উপর ভীষণভাবে নির্ভরশীল পাকিস্তান সেটা সুষমা স্বরাজ বিদেশমন্ত্রী থাকাকালীনই প্রকাশ্যে এসে গিয়েছিল। একাধিক মুমুর্ষু পাকিস্তানী রোগীর ভারতে চিকিৎসা করানোর সুযোগ করে দিয়েছিলেন তিনি। ওষুধের ক্ষেত্রেও যে তারা ভরতের উপর নির্ভরশীল তা আবারও প্রমাণ হয়ে গেল এই সিদ্ধান্তে।
কাশ্মীর ইস্যুতে রুষ্ট পাকিস্তান
কাশ্মীর নিয়ে ভারতের সিদ্ধান্তের পর থেকেই রুষ্ট পাকিস্তান। একের পর এক যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিয়ে চলেছে তারা। আন্তর্জাতি মঞ্চে সমর্থন জোটানোর চেষ্টা করলেও পেরে ওঠেনি। সকলে ভারতকেই সমর্থন জানিয়েছে। তাতে আরও চটেছে তারা। শেষে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করার কথা ঘোষণা করে।
তাতেও লাভ হল না সেই নতি স্বীকার করতেই হল। জীবনদায়ী ওষুধ পেতে বাণিজ্যিক অবরোধ শিথিল করল পাকিস্তান। এখন দেখার বাকিটা কতদিন বহাল থাকে। কারণ ভারত থেকেই অধিকাংশ জিনিস আমদানি করে থাকে পাকিস্তান।