দোল উৎসবের আগে বাংলাদেশের ইস্কন মন্দির ভাঙচুর, লুটপাট চালায় ২০০ জন উন্মত্ত জনতা
দোল উৎসবের আগে বাংলাদেশের ইস্কন মন্দির ভাঙচুর, লুটপাট চালায় ২০০ জন উন্মত্ত জনতা
দোলের আগের দিন তোলপাড় বাংলাদেশের ঢাকা শহরের ধর্মীয় স্থান। বৃহস্পতিবার ঢাকার ইস্কন মন্দিরে ২০০ জন চড়াও হয়ে তা ভাঙচুর করে লুটপাট চালানোর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রাতে ঢাকা ওয়ারির ২২২, লাল মোহন স্ট্রীটে অবস্থিত এই মন্দিরের হামলার ঘটনায় অনেক সদস্য আহত হয়েছেন।
জানা গিয়েছে, উন্মত্ত জনতার নেতৃত্বে ছিলেন হাজী শফিউল্লা। বৃহস্পতিবার রাতে এর নেতৃত্বে প্রায় ২০০ জন লোক হঠাৎই মন্দিরে হামলা চালায়। প্রসঙ্গত, গত বছর, বাংলাদেশের কুমিল্লা শহরের নানুয়ার দিঘি হ্রদের কাছে একটি দুর্গাপুজো মণ্ডপে কোরান অবমাননা করা হয়েছে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর ছড়িয়ে পড়ার পর হিংসায় কমপক্ষে তিনজন নিহত হন। এর আগে, একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল ঢাকার তিপু সুলতান রোড ও চট্টগ্রামের কোতয়ালিতে।
ইস্কন ইড়্ডিয়ার ভাইস–প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন টুইটারে। তিনি টুইট করে লিখেছেন, 'এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক একটি ঘটনা যেটি দোল যাত্রা ও হোলির শুভ সময়ে ঘটেছে। মাত্র কয়েকদিন আগে রাষ্ট্রপুঞ্জ ১৫ মার্চকে ইসলামফোবিয়া প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে ঘোষণা করে একটি প্রস্তাব পাস করেছে।’ তিনি এর সঙ্গে এও যোগ করেছেন যে, 'আমরা বিস্মিত যে একই রাষ্ট্রপুঞ্জ হাজার হাজার অসহায় বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি সংখ্যালঘুদের দুঃখ–কষ্টে নীরব। হিন্দু সংখ্যালঘুদের মধ্যে অনেকে তাঁদের জীবন, সম্পত্তি হারিয়েছে, ধর্ষিত হয়েছে, কিন্তু আফসোস, শুধুমাচ্র ইসলামোফোবিয়া নিয়ে চিন্তা করছে রাষ্ট্রপুঞ্জ।’
বৃহস্পতিবার রাতে এই ভাঙচুরের নেতৃত্বে প্রায় ২০০ জন লোক হঠাৎই মন্দিরে হামলা চালায়। ধর্মীয় স্লোগান দিতে দিতে এসে মন্দিরে ভাঙচুর শুরু হয়। ভেঙে ফেলা হয় দেওয়াল। জানা যাচ্ছে ওই সময় মন্দিরে ছিলেন ৩০-৪০ জন ভক্ত এবং পুরোহিতও। দুষ্কৃতীরা তাঁদের বেধড়ক মারধর করে। গুরুতর আহত অবস্থায় কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। তারপর ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয় ওই হামলাকারীদের। ঘটনার জেরে প্রবল উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।