চিন থেকে যুক্তরাজ্য উদ্বেগ বাড়াছে কোভিড গ্রাফ, ভারতে নিম্নমুখী করোনা কেসের সংখ্যা
চিন থেকে যুক্তরাজ্য উদ্বেগ বাড়াছে কোভিড গ্রাফ, ভারতে নিম্নমুখী করোনা কেসের সংখ্যা
কোভিড উদ্বেগ কিছুতেই কমতে না। কখনও গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে তো কখনও নিম্নমুখী। কিন্তু পুরোপুরি স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছে না। ভারতে গতকাল ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নতুন করে ১৬৬০ টি করোনার কেস দেখা গেছে। অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৭৪১ জনে। দেশ কিন্তু স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছে। আজ, রবিবার প্রায় ২ বছরের বেশি সময় পর থেকে আন্তর্জাতিক যাত্রীবাহী ফ্লাইট আবার চালু হয়েছে। যদিও সব দেশে কিন্তু নিম্নমুখী করোনা গ্রাফ নয়। অনেক দেশই কিন্তু উচ্চ করোনা গ্রাফের জন্য ভুগছে। যদিও কিছুদিন আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, টানা দুই সপ্তাহে বিশ্বব্যাপী করোনা গ্রাফ অনেকটাই ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।
চিন
চিন কিন্তু সবথেকে খারাপ অবস্থায় রয়েছে। সেখানে কিন্তু ক্রমশই বাড়ছে করোনা গ্রাফ। সেই সঙ্গে বেড়েছে কোভিড ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের প্রভাবও। স্বাস্থ্য আধিকারিকরা শুক্রবার এই কঠিন পরিস্থিতিকে গুরুতর ও জটিল বলে জানিয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১২৮০ টি কেসের সংখ্যা দেখা গেছে। বৃদ্ধি পেয়েছে ৫৫ টি ওমিক্রন আক্রান্ত কেসের সংখ্যাও। সেদেশের ২০ টির বেশি প্রদেশে লকডাউন ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। পয়লা মার্চ থেকে চিনে ৫৬ হাজার করোনা কেসের সংখ্যা দেখা গেছে, তবে হংকং ছাড়া। যা জানিয়েছে জাতীয় স্বাস্থ্য আধিকারিকরা।
হংকংয়েও কিন্তু অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে কোভিড গ্রাফ। যদিও শুক্রবার নতুন করে ১০ হাজার ৪০১ টি করোনা কেসের সংখ্যা দেখা যাচ্ছে। বর্তমানে সেখানে করোনা গ্রাফ সামান্য নিম্নমুখী। শহরে ১ মিলিয়নের বেশি কোভিড কেসের সংখ্যা দেখা যাচ্ছে। অনেক বয়স্ক ব্যক্তিরা এখনও করোনার ডবলডোজ টিকা পাননি। শুধু যে বৃদ্ধ তা নয়, অনেক বয়সের মানুষই এখনও সেখানে টিকাপ্রাপ্ত নন।
যুক্তরাজ্য
চিন ছাড়াও যুক্তরাজ্যে কিন্তু হুহু করে বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। সেখানে কিন্তু লাগামহীন গ্রাফ। শুক্রবার, সরকারি তথ্য অনুসারে জানা গিয়েছে, যুক্তরাজ্যে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা এক সপ্তাহে প্রায় এক মিলিয়ন বৃদ্ধি পেয়ে ৪.২৬ মিলিয়নে পৌঁছেছে। যা আগের সপ্তাহের থেকে ৩.৩ মিলিয়ন বেড়েছে। এতটা করোনা বৃদ্ধির জন্য কোভিড ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন BA.2 দায়ী বলে বলে মনে করছে অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস। তাঁদের মতে, এটি কিন্তু সংক্রমণযোগ্য। আক্রান্তের সংখ্যাসহ হাসপাতালে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। যদিও গুরুতর অসুস্থতার সংখ্যা অনেকটাই কমেছে।
দক্ষিণ কোরিয়া
দক্ষিণ কোরিয়ায় কিন্তু চিত্রটা একটু আলাদা। রবিবার ৩ লক্ষ ১৮ হাজার ১৩০ জন করোনা সংক্রমণ ২৮২ জন মৃতের খবর জানা গিয়েছে। চতুর্থ দিনেও সেদেশে দৈনিক কেসের সংখ্যা ৪ লক্ষের নীচে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও করোনা নিম্নমুখী হওয়াটা বুধবার থেকে শুরু হয়েছে। যখন ২৪ ঘন্টায় ৪.৯ লক্ষ কেস সংখ্যা দেখা গিয়েছে। সেদেশে করোনা বৃদ্ধির জন্য তারা ওমিক্রন ভ্যারিয়েনেটকেই দায়ী করেছে। নিউইয়র্কে সামগ্রিক করোনা মামলার হারে সামান্য বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে।
ভারত
শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা বিরুদ্ধে লড়তে টিকার দেওয়ার কাজ খুব ভালোভাবে এগোচ্ছে। ১৮৩ কোটির বেশি মানুষ কোভিড টিকাপ্রাপ্ত বলে জানা গিয়েছে। ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরীদের এখন পর্যন্ত ১.২০ কোটির বেশি ভ্যাকসিন ডোজ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। যা গতবছরের ১৬ জানুয়ারি দেশজুড়ে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়।
মধ্যম রেঞ্জের অথচ শক্তিশালী মিসাইলের সফল পরীক্ষা করল ভারত