নিস্তার নেই, মিনুকে কারাগারেই পাঠাল আদালত
২০১১ সালের ৪ জুন বিএনপি-র যুগ্ম মহাসচিব মিজানুর রহমান মিনুর নেতৃত্বে শহরের ভুবনমোহন পার্ক থেকে একটি মিছিল বের হয়। বিএনপি-র ওই মিছিল থেকে পুলিশের ওপর গুলি চালানো হয়। গুলিতে গুরুতর জখম হন বোয়ালিয়া মডেল থানার তৎকালীন ওসি খান মহম্মদ শাহরিয়র। এছাড়াও আরও তিনজন কনস্টেবল যথাক্রমে খলিলুর রহমান, নুরুজ্জামান এবং মাহবুবুর রহমান গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। এই ঘটনার পর বোয়ালিয়া মডেল থানায় ৩৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তাতে মিজানুর রহমান মিনুরও নাম ছিল।
অভিযুক্তের তরফে আইনজীবী মোজাম্মেল হক জানান, এদিন তাঁর মক্কেল জামিনের আর্জি জানিয়েছিল আদালতের কাছে। কিন্তু শুনানি শেষে বিচাপর বিশ্বনাথ মণ্ডল তাঁকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর পর তাঁকে আদালত থেকে কড়া পুলিশি পাহারায় নিয়ে যাওয়া হয় জেলে।
এদিকে, এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আদালত চত্বরের বাইরে বিক্ষোভ দেখায় বিএনপি নেতা-কর্মীরা। তাদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ সরকারের চাপেই জেলে পাঠানো হয়েছে মিনুকে। যদিও আওয়ামী লীগ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের পাল্টা যুক্তি, বাংলাদেশে বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করে। আইন চলে আইনের মতো। ফলে এ নিয়ে যা অভিযোগ করা হচ্ছে, তা ভিত্তিহীন।