#MH370 ভেঙে পড়ার সময়ে বিমানের ককপিটে কোনও চালক ছিলেন না!
অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরোর তরফে প্রকাশিত টেকনিক্যাল রিপোর্টে মালয়েশীয় বিমানের ভেঙে পড়া নিয়ে নানা তথ্য দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল, বিমানের ককপিটে কোনও চালক না থাকা।
সিডনি, ২ নভেম্বর : নিখোঁজ থাকা মালয়েশীয় বিমান নিয়ে ফের একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল। সাম্প্রতিক তদন্তে দেখা গিয়েছে, ২০১৪ সালে মালয়েশীয় বিমানটি যখন মহাসাগরে ভেঙে পড়ে, সেইমুহূর্তে বিমানে ককপিটে কোনও চালক ছিলেন না।
'বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল' রহস্যের সমাধান করলেন বিজ্ঞানীরা!
অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরোর তরফে প্রকাশিত টেকনিক্যাল রিপোর্টে মালয়েশীয় বিমানের ভেঙে পড়া নিয়ে নানা তথ্য দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল, বিমানের ককপিটে কোনও চালক না থাকা। অর্থাৎ ভেঙে পড়ার সময়ে কারও হাতে বিমানের নিয়ন্ত্রণ ছিল না।
এর পাশাপাশি যে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে তা হল, এমএইচ৩৭০ বিমান ধ্বংসের আগে তাতে জ্বালানি শেষ হয়ে গিয়েছিল এবং প্রায় ২৫ হাজার ফুট প্রতি মিনিট গতিতে তা আকাশ থেকে নেমে এসে সমুদ্রে গোঁত্তা মেরে ধ্বংস হয়।
২০১৪ সালের ৮ মার্চ কুয়ালালামপুর থেকে বেজিং যাওয়ার পথে ২৩৯ জন যাত্রী নিয়ে মাঝ আকাশে হারিয়ে যায় এমএইচ৩৭০ নামের মালয়েশীয় বিমানটি। এর আগে এতজন যাত্রী নিয়ে বিমান নিখোঁজের ঘটনা সারা বিশ্বের কোথাও ঘটেনি।
এরপরে প্রায় ২ বছর ভারত মহাসাগরে অস্ট্রেলিয়া, চিন ও মালয়েশীয়ার উদ্যোগে তল্লাশি অভিযান চালানোর পরে অস্ট্রেলিয়ার সৌজন্যেই এমএইচ৩৭০ বিমানের একেরপর এক ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার হয়। তার আগে ভারত মহাসাগরের কয়েক লক্ষ কিলোমিটার এলাকা বিমানের খোঁজে চষে ফেলা হয়েছে।
গত সেপ্টেম্বরেই মলায়েশীয় সরকার এমএইচ৩৭০ বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছে বলে জানায়। গত জুন মাসে তানজানিয়ার উপকূল থেকে দূরে পেম্বা দ্বীপে যে বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছিল তা এমএইচ ৩৭০ বিমানেরই। এর আগে ২০১৫ সালের জুলাই মাসে ফরাসি দ্বীপে এমএইচ ৩৭০ এর ভাঙা টুকরো মিলেছিল। এছাড়া মোজাম্বিক, দক্ষিণ আফ্রিকা, রডরিগেজ দ্বীপ ও মরিশাসেও এমএইচ ৩৭০ এর টুকরো পাওয়া গিয়েছে।