পুতিনের হুমকি আরও অশান্তি বাড়াবে ক্রিমিয়ায়, ন্যাটোর সঙ্গে বিরোধ বাঁধল বলে
মস্কোর বন্ধুদেশের উপরে হামলা হলেই ধরে নেওয়া হবে তা আমাদের উপরে হামলা হচ্ছে। আর তার সরাসরি জবাব দেওয়া হবে। পুতিনের হুমকির কড়া সমালোচনা করেছে ন্যাটো।
মস্কোর বন্ধুদেশের উপরে হামলা হলেই ধরে নেওয়া হবে তা আমাদের উপরে হামলা হচ্ছে। আর তার সরাসরি জবাব দেওয়া হবে। এই হুমকি দিয়েছেন স্বয়ং ভ্লাদিমির পুতিন। তার জবাবে কড়া সমালোচনা করেছে ন্যাটো। যেখানে বিভিন্ন এলাকায় শান্তি ফেরানোর চেষ্টা চলছে, সেখানে রাশিয়ার মতো দেশের দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না বলে মনে করছে ন্যাটো।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটোর কোন এলাকার আগ্রাসন নিয়ে পুতিন মুখ খুলেছেন তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি তিনি। ক্রিমিয়াকে দখল করেছে রাশিয়া চার বছর আগে। সেখানকার আগ্রাসন ও অশান্তির আগুন এখনও ধিকধিক করে জ্বলছে। তারপরও কী করে পুতিন আগ্রাসনের কথা বলেন তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন।
ক্রিমিয়া নিয়ে কোনও পক্ষই আগ্রাসন চায় না। অস্ত্র নয় আলোচনার মাধ্যমে এই অঞ্চলে শান্তি ফেরানোর কথা বলা হচ্ছে। কোনও ধরনের ঠান্ডা যুদ্ধ বা অস্ত্রের লড়াইয়ের বিপক্ষে সকলে।
তবে অনেকে মনে করছেন, সামনেই রাশিয়ার নির্বাচন। তার মধ্যে পুতিন দাবি করেছেন তিনি হাসতে হাসতে জিতবেন। তা সত্ত্বেও চাপ রয়েছে। তাই তিনি লোকের মন জয় করতে হুমকি দিচ্ছেন কিনা তাও দেখার বিষয়।
ন্যাটো স্পষ্ট বলেছে, ক্রিমিয়া সঙ্কটে রাশিয়াকে চাপে ফেলার কোনও উদ্দেশ্। কারও নেই। তাও পুতিনের হুমকি নতুন করে উত্তেজনা তৈরি করতে পারে।
ন্যাটো-রাশিয়া কাউন্সিল ২০১৪ সালের জুন মাসে ক্রিমিয়া সঙ্কটের সময় ভেঙে যায়। তারপর থেকেই একদিকে ন্যাটো যেমন প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে তেমনই প্রত্যুত্তরের রাস্তাও রাশিয়ার ক্ষেত্রে খোলা রেখেছে।