পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের খোঁচা মোদীর, আফগানিস্তান নিয়ে দিলেন সাবধান বাণী
রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে তাঁর ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, যে দেশ সন্ত্রাসবাদকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছে, তাদের বুঝতে হবে যে সন্ত্রাসবাদ তাদেরও বিপদ ডেকে আনবে।
নাম না করে পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের খোঁচা দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভায় তাঁর ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, যে দেশ সন্ত্রাসবাদকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছে, তাদের বুঝতে হবে যে সন্ত্রাসবাদ তাদেরও বিপদ ডেকে আনবে। তাঁর এই বক্তব্যে পাকিস্তানের পাশাপাশি আফগানিস্তানের প্রতিও খোঁচা রয়েছে।
রাষ্ট্রপুঞ্জের সভায় নরেন্দ্র মোদী বলেন, আফগানিস্তানের মাটিকে সন্ত্রাসবাদের জন্য কোনও কোনও দেশ ব্যবহারের চেষ্টা করছে। কোনও কোনও দেশ সেখানকার অশান্ত পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে সন্ত্রাসবাদ ছড়ানোর চেষ্টা করে চলেছে। আফগানিস্তানের মাটিকে সন্ত্রাসবাদের জন্য যেন ব্যবহার না হয়। রাষ্ট্রপুঞ্জের সভায় সোজাসাপ্টা সন্ত্রাসবাদ দমনের বার্তা দিলেন মোদী।
মোদী বলেন, আজ বিশ্বের সামনে চমর বিপদ হল সন্ত্রাসবাদ। কিছু দস সন্ত্রাসবাদকে হায়িতার করছে। এদিন মূলত সেইসব দেশকেই সাবধান করে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর নিশানায় যে ভারতের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান ছিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। একইসঙ্গে তিনি সাবধান করে দিয়েছেন চিনকেও। আফগানিস্তানের মাটিকে যাতে জঙ্গিরা ব্যবহার না করতে পারে তা দেখতে হবে। সেইসঙ্গে তিনি বলেন, আফগানিস্তানের মানুষের এই মুহূর্তে সাহায্যের প্রয়োজন। ওখানকার মহিলা, সংখ্যালঘুরা আজ বিপন্ন। সেজন্য আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। তাঁদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন রাষ্ট্রপুঞ্জের গঠনতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন। বলেন, আফগানিস্তানের পরিস্থিতি আজ এ প্রশ্ন তুলতে বাধ্য করছে। বিশ্বের সামনে যে চরমপন্থা নাম বিপদ উঁকি দিচ্ছে তা নির্মূল করতে নতুন করে ভাবতে হবে। নতুন করে সংঙ্ঘবদ্ধ হতে হবে। মোদী বলেন, আমি ভাগ্যবান যে টানা চারবার সেই দেশের প্রতিনিধিত্ব করছি, যে দেশ বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রের দেশ। এমন দেশ যেখানে হাজারো ভাষা, জীবনশৈলী রয়েছে। বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য রয়েছে।
এদিন মোদীর সন্ত্রাসবাদ নিয়ে হুঁশিয়ারিতে যে পাকিস্তানের প্রতি নিশানা ছিল, তা স্পষ্ট। পাকিস্তানের প্রতিবেশী আফগানিস্তানকে ব্যবহার করতে চাইছে জঙ্গিরা। তাতে মদত দিচ্ছে কোনও কোনও দেশ। উল্লেখ্য, সম্প্রতি আফগানিস্তানের দখল নিয়েছে তালিবান। আর তালিবানের জেহাদি সরকারকে সমর্থনের পক্ষে সওয়াল করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এই পরিস্থিতিতে ভারত কী অবস্থান নেয়, তার দিকে তাকিয়েছিল গোটা বিশ্ব। বিশ্বের সামনে রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চকে ব্যবহার করে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দিল ভারত। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী বুঝিয়ে দিলেন, সন্ত্রাসবাদ নিয়ে কোনও নমনীয়তা দেখাবে না ভারত, কোনও আপসও তারা করবে না।