কোভিডে দারিদ্রসীমার নীচে ৫০ কোটির বেশি মানুষ
কোভিডে দারিদ্রসীমার নীচে ৫০ কোটির বেশি মানুষ
শুরুটা হয়েছিল ২০২০ সালের একেবারে প্রথম দিকে। তখন থেকেই মানবসভ্যতায় থাবা বসিয়েছে করোনা। লকডাউন ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে বিভিন্ন দেশ, যেন থমকে গিয়েছে সভ্যতার চাকা। মারণ ভাইরাসে কোটি কোটি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন,প্রাণ হারিয়েছেন। তবে এই কোভিডের ফলেই দারিদ্র্যসীমার নীচে চলে গিয়েছেন প্রায় অর্ধেক বিলিয়ন মানুষ। এবার এমন চাঞ্চল্যকর তথ্যই তুলে ধরল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
কী বলছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা?
সাংবাদিক সম্মেলনে মানুষের চিকিৎসা খরচ এবং অর্থনৈতিক অবস্থার ওপর আলোকপাত করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তারা জানায়, স্বাস্থ্য পরিষেবা পেতে মানুষ নিজেদের পকেট থেকে প্রচুর খরচ করতে বাধ্য হয়েছেন। আর এভাবেই কোভিড কোটি কোটি মানুষকে দারিদ্র্যসীমার নীচে ঠেলে দিয়েছে। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিশ্ব ব্যাঙ্ক এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, দু'টি রিপোর্টই পেশ করে তারা৷ রিপোর্টে লেখা রয়েছে, ' কোভিডের ফলে বিশ্বের স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়ন প্রায় দুই দশক ধরে একই জায়গায় থাকবে৷ এমনকি এই অতিমারি আসার আগেও চিকিৎসা খরচ যা ছিল, তাতে আধা বিলিয়ন মানুষ দরিদ্র্যসীমার নীচে চলে যাচ্ছিলেন।
কী বলছে বিশ্বব্যাঙ্ক?
বিশ্ব ব্যাঙ্ক এবং হু উভয়ই তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করে, কোভিডের ফলে বিভিন্ন দেশের সরকার আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে। কাজেই অর্থনৈতিক অনটন থেকেই যাবে। বিশ্ব ব্যাঙ্কের স্বাস্থ্য, পুষ্টি এবং জনসংখ্যা বিষয়ক দফতরের ডিরেক্টর পাবলো উরিব বলেন, 'কোভিড১৯ অতিমারি আছড়ে পড়ার আগে বিশ্বজুড়ে প্রায় ১ বিলিয়ন মানুষ তাদের মোট খরচের ১০ শতাংশ স্বাস্থ্য খাতে করছিলেন। এটা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। কোভিডে সবচেয়ে বেশি হয়েছে দরিদ্র ব্যক্তিদের৷ এমতাবস্থায় সরকারগুলিকে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দের পরিমাণ বাড়াতেই হবে।'
কী বলছেন ট্রেডস আধানম?
অর্থনৈতিক টানাটানি নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর টেড্রস আধানম ঘেব্রেসাস বলেন, 'এখন সময় নষ্ট করার কোনও পরিসরই নেই।' প্রত্যেকটি দেশের সরকারের কাছে তাঁর আবেদন, এই মুহূর্তেই যেন সুলভে প্রত্যেক নাগরিককে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার বন্দোবস্ত করে তারা৷ কোনও ভয় এবং চিন্তা ছাড়াই যেন প্রত্যেকটি নাগরিক চিকিৎসার সুবিধা পান। অর্থাৎ, প্রাথমিক স্তরে চিকিৎসার উন্নয়নে জোর দিক দেশগুলির সরকার। এর ফলে বাড়ির কাছেই মানুষ পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য পরিষেবা পাবে।'