মাঝ আকাশে খুলে যায় যন্ত্রাংশ, 'মিডএয়ার ব্রেকাপ'-এর কারণেই বিমান দুর্ঘটনা চিনে
মাঝ আকাশে খুলে যায় যন্ত্রাংশ, 'মিডএয়ার ব্রেকাপ'-এর কারণেই বিমান দুর্ঘটনা চিনে
গত সোমবারের ঘটনা। ভয়ঙ্কর বিমান দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল চিন। জানা গিয়েছিল, এই বিমান দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন ১৩২ জন। চিনা প্রশাসন জানিয়েছিল, ঘটনাস্থলের ১০ কিলোমিটার দূরে বিমানের ভগ্নাবশেষ পাওয়া গিয়েছে। এবার সেই দুর্ঘটনা নিয়েই বাড়ছে রহস্য৷
সোমবার চিনের আকাশে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল বোয়িং ৭৩৭-৮০০। বিশেষজ্ঞদের মতে, মাঝ আকাশেই বিগড়ে গিয়েছিল বিমানটি। উড়ন্ত অবস্থায় দুর্ঘটনার আগেই খুলে পড়েছিল একটি বড় অংশ৷ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যে অংশটি খুলে পড়েছে মাঝ আকাশে, তা আসলে জেটের অংশ। অর্থাৎ এর থেকেই বোঝা যায় মিডএয়ার ব্রেকাপের সম্মুখীন হয়েছিল বিমানটি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের প্রধান জেফ গুজেত্তি অবশ্য প্রশ্ন রেখেই দিয়েছেন। তিনি বলেন, 'প্রশ্ন হচ্ছে, ঠিক কোন অংশটা খুলে পড়েছে এবং কখন?'
উল্লেখ্য, কুনমিং থেকে গুয়াঙঝাউগামী বিমানটি আচমকাই ভেঙে পড়ে। বিমানচালক ন্যূনতম জরুরি রেডিও কলও করতে পারেননি৷ তার আগেই গন্তব্যের ১০০ মাইল আগে বনে ঘেরা পাহাড়ের গায়ে ধাক্কা মারে বিমানটি। এরপরই শুরু হয় তদন্ত। বোয়িং বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিমান নির্মাতা সংস্থা। তাদের তৈরি ৭৩৭-৮০০ মডেলের বিমানটি এতই নিরাপদ যে সহজে এভাবে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে পারে না। দুর্ঘটনার কবলে পড়ার পর নিশ্চয়ই বিমানচালকের কোনও ত্রুটি ছিল। নাহলে এতক্ষণ ধরে কেবলমাত্র নীচের দিকে যেতে পারে না বিমানটি। যদিও এখনও স্পষ্টভাবে কিছুই জানা যাচ্ছে না স্পষ্টভাবে৷ প্রাথমিক তদন্তে জানা যাচ্ছে, মাঝ আকাশেই সমস্যা দেখা দিয়েছিল, খুলে গিয়েছিল জেট অংশের যন্ত্রাদি। গুজেত্তি জানিয়েছেন, আকাশে ২৯ হাজার ফুট উচ্চতা থেকে মাত্র ১ মিনিট ৩৫ সেকেন্ডে মাটিতে নেমে আসে বিমানটি।
ফের ক্ষমতায় যোগী, মাদ্রাসায় জাতীয় সঙ্গীত বাধ্যতামূলক, নির্দেশিকা জারি উত্তর প্রদেশে
প্রসঙ্গত, চিনের ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট,এমইউ৫৭৩৫, তে ১২৩ জন যাত্রী এবং ন'জন ক্রু মেম্বার ছিল। ঘটনা ঘটার পরপরই চিনের বিমান পরিবহনের আপতকালিন বিভাগের আধিকারিকারিক এবং সিভিল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অফিসাররা বিমান ভেঙে পড়ার জায়গাটিতে তদন্তে শুরু করেন৷ প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল বেশ উচ্চতা থেকে মাটিতে পড়ার সময় জোরে আঘাত এবং আগুন লেগে যাওয়ার কারণে বিমানের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল৷ ভারতীয় সময় সকাল ১১.৫০ এ ফ্লাইট এমইউ৫৭৩৫ কুনমিং থেকে গুয়াংজু যাচ্ছিল এবং ২৯ হাজার ১০০ ফুট উপরে থাকা অবস্থা থেকে ১৩৫ সেকেন্ড পরে এটি ৯০৭৫ ফুটে নেমে এসেছিল৷ আরও ২০ সেকেন্ড পরে এটি মাটি থেকে মাত্র ৩ হাজার ২২৫ ফুট উপরে অবস্থান করছিল। এবং ৯৫ সেকেন্ডে বিমানটি প্রায় ২৬ হাজার ফুট নিচে পড়ে।