মেক্সিকোয় বন্দুকবাজ হামলা, এলোপাথাড়ি গুলিতে রক্তে ভাসল হোটেল
মেক্সিকোর এক হোটেলে ঢুকে হামলা চালাল বন্দুকবাজরা। আচমকাই মেক্সিকোর গুয়ানাজুয়াতো রাজ্যের সেলায়া শহরের একটি হোটেলে ঢুকে বন্দুকধারীরা এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। বন্দুকবাজদের এলোপাথাড়ি গুলিতে রক্তে ভেয়ে যায় হোটেল।
মেক্সিকোর এক হোটেলে ঢুকে হামলা চালাল বন্দুকবাজরা। আচমকাই মেক্সিকোর গুয়ানাজুয়াতো রাজ্যের সেলায়া শহরের একটি হোটেলে ঢুকে বন্দুকধারীরা এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। বন্দুকবাজদের এলোপাথাড়ি গুলিতে রক্তে ভেয়ে যায় হোটেল। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানান গিয়েছে, এই ঘটনায় অন্তত ১১ জন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় রাত ১০টা নাগাদ (৩ জিএমটি)প্রায় 15 জন সশস্ত্র লোকের একটি দল হোটেলে গুলি চালাতে চালাতে ঢুকে পড়ে। হোটেলের ভিতরে ঢুকেই তারা পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে। তার আগে অন্তত দুটি কাছাকাছি বারে হামলা চালায় ওই বন্দুকবাজরা। এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে তারা পালিয়ে যায়। এরপরই নিরাপত্তা বাহিনী ছুটে আসে। তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকার্য শুরু করে। তবে গুলি করার পিছনে কারা থাকতে পারে সে বিষয়ে এখনও বিবৃতি জারি করা হয়নি নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে।
মেক্সিকোর চেলায়া শহরে একটি অপরাধী চক্রের হাত থাকতে পারে মনে করা হচ্ছে। এলাকায় সম্প্রতি হিংসা বৃদ্ধি দেখেছে। সম্প্রতি সান্তা রোসা দে লিমা নামে এক প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে জালিস্কো নিউ জেনারেশন কার্টেলের একটি মারাত্মক বিবাদ ঘটে। এই ঘটনায় তাঁদেরই হাত রয়েছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সান্তা রোসা কার্টেল প্রধানত তোলাবাজি এবং জ্বালান চুরিতে জড়িত। এর প্রাক্তন নেতা জোসে ইয়েপেজকে এই বছরের শুরুতে ৬০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। যদিও ২০২০ সালে তাদের উপর একটি বড় ধাক্কা নেমে আসে। তার উত্তরাধিকারী হওয়ার যুদ্ধ শুরু হয়। ফলে হিংসার ঘটনা বাড়তে শুরু করে।
এদিনের এই ঘটনার পিছনে প্রতিহিংসার ঘটনা রয়েছে নাকি কোনও সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের হাত রয়েছে, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনার দায় স্বীকার করেনি কেউ। মেক্সিকোর নিরাপত্তা বাহিনী ওই হোটেল চত্বরে মোতায়েন করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে আততায়ীদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
তাঁরা কোন পথে হোটেলে ঢুকেছিল, কোনও পথে হামলা চালানোর পর পালিয়ে যায়, তা বোঝার চেষ্টা করছে পুলিশ। এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান নেওয়া হয়েছে। হোটেলের যাঁরা নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল, তাঁরা কী করছিলেন, তাঁদের ভূমিকা কী, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মেক্সিকো সরকার এই ঘটনার উদ্বিগ্ন। তাঁরা প্রতিরক্ষামূলক সমস্ত ব্যবস্থা নিয়েছে। তৎপরতার সঙ্গে এই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে সরকারের তরফে।