আটপেয়ে এই প্রাণীটিকে চিনে নিন, পৃথিবীর শেষ দিনও যারা থাকবে
টার্ডিগ্রেডই একমাত্র প্রজাতি যা পৃথিবীর শেষ দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে, জানালেন বিজ্ঞানীর। একমাত্র সূর্যর সমস্ত শক্তি ফুরিয়ে না গেলে, বেঁচে থাকবে টার্ডিগ্রেড ।
পৃথিবীর শেষ কি সত্যিই আসন্ন? দীর্ঘদিন ধরেই প্রলয় বা মহাপ্রলয়ের নানা খবর বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা বা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হলেও সত্যিই কবে সেই দিন আসবে সেবিষয়ে নিশ্চিত নন বিজ্ঞানীরাও। কিন্তু পৃথিবী থেকে মানব সভ্যতা লোপ পেলে কী আর প্রাণের অস্তিত্বও থাকবে না, এই প্রশ্নের উত্তরটা হয়ত পেয়ে গিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। পৃথিবীতে আলো- বাতাস যতদিন থাকবে , ততদিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে এমন প্রাণীর সন্ধান পেয়ে গিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। আট পেয়ে এই প্রজাতির নাম টার্ডিগ্রেড।
মাইনাস ২৭২ ডিগ্রি থেকে ১৫০ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রায় দিব্যি নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে টার্ডিগ্রেড। খাদ্য ও পানীয় ছাড়াই বেঁচে থাকতে পারে ৩০ থেকে ৫০ বছর পর্যন্ত। ২০০৭ সালে বিভিন্ন প্রজাতির ৩০০০ প্রাণীকে মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল। সেই দলে ছিল টার্ডিগ্রেডও। একমাত্র টার্ডিগ্রেডই মহাকাশযানের বাইরে ১২দিন পর্যন্ত বেঁচে ছিল।
সম্প্রতি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা টার্ডিগ্রেড নিয়ে বিস্তর গবেষণা চালিয়েছেন। তাঁদের পর্যবেক্ষণ, পৃথিবীকে পুরোপুরিভাবে ধ্বংস করতে পারে এমন সম্ভাবনা তিনটি। সেগুলি হল বিশালাকার গ্রহাণুর ধাক্কা, সুপারনোভা অথবা গামা রশ্মি বিকিরণ। কিন্তু এই তিনটিরই সুদুর ভবিষ্যতে পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। এগুলি হওয়ার আগে হয়ত সূর্যই শেষ হয়ে যাবে। ফলে আগামী দশ হাজার কোটি বছরেও টার্ডিগ্রেডের বিলুপ্ত হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।
এই টার্ডিগ্রেডই এমন প্রাণী যারা এই পৃথিবীর প্রথম দিন থেকেই রয়েছে। দেখেছে অতিকায় ডাইনোসরদের এই পৃথিবীতে আসা ও যাওয়া। ফলে তারাই যে পৃথিবীর শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত টিকে থাকবে তা নিয়ে একপ্রকার নিশ্চিত বিজ্ঞানীরা। ফলে মানব সভ্যতা শেষ হয়ে গেলেও এই গ্রহ থেকে প্রাণের অস্তিত্ব মুছে যাবে না, তা হলফ করে বলাই যায়।