একটানা 'বাত কর্ম'-এ বিমানের মধ্যে ধুন্ধুমার, করতে হল জরুরি অবতরণ
জানা গিয়েছে, আমস্টারডাম থেকে ট্রান্সাভিয়া এয়ারলাইন্সের বিমানটি দুবাই যাচ্ছিল। কিন্তু, মাঝআকাশে এক প্রৌঢ় ডাচ একটানা সশব্দে বাতকর্ম করতে থাকেন।
শুধুমাত্র বাত-কর্ম। আর তাতেই বিমানকে করাতে হল জরুরি অবতরণ। পরিস্থিতি এতটাই অশান্ত হয়ে উঠেছিল যে মাঝআকাশে বিমানের মধ্যেই হাতাহাতি লেগে যায়। শেষ পর্যন্ত এই ঘটনায় দুই যুবতী-সহ চার জনকে বিমান থেকে নামিয়েও দেওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, আমস্টারডাম থেকে ট্রান্সাভিয়া এয়ারলাইন্সের বিমানটি দুবাই যাচ্ছিল। কিন্তু, মাঝআকাশে এক প্রৌঢ় ডাচ একটানা সশব্দে বাতকর্ম করতে থাকেন। দুর্গন্ধে তখন টেকাই দায়। অন্য এত ডাচ বাতকর্ম নিয়ন্ত্রণ করতে প্রৌঢ়কে প্রথমে অনুরোধ করেন। কিন্তু, প্রৌঢ় জানান, তিনি চেষ্টা করেও তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। অভিযোগকারী ডাচ ফের জানান, বাতকর্মের শব্দ আর দুর্গন্ধে তিনি আসনে বসতে পারছেন না। এই নিয়ে প্রৌঢ়-র সঙ্গে ওই ডাচের বচসা বেধে যায়। প্রৌঢ়-র পাশে দুই ডাচ-মরোক্কান তরুণীও এই বচসায় জড়িয়ে পড়েন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে তাতে হস্তক্ষেপ করেন ফ্লাইট অ্য়াটেন্ড্যান্ট। কিন্তু, এই বচসাকে ঘিরে শুরু হয়ে যায় হাতাহাতি। উপায় না দেখে বিমানের পাইলট তখন ভিয়েনা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দের জরুরি অবতরণের অনুমতি চান। ভিয়েনা বিমানবন্দের বিমানের জরুরি অবতরণে হইচই পড়ে যায়। বিমানের ভিতরে চলে আসে ভিয়েনা বিমানবন্দরের পুলিশ অফিসাররা। পাইলটের সঙ্গে কথা বলে ভিয়েনা পুলিশ বাতকর্ম করা প্রৌঢ় ডাচ, অভিযোগকারী এবং দুই ডাচ-মরোক্কান তরুণীকে বিমান থেকে নামিয়ে নেয়।
এরপরই বিমান নির্দিষ্ট গন্তব্যস্থলের উদ্দেশে রওনা দেয়। জানা গিয়েছে, দুই ডাচ তরুণীর মধ্যে একজনের নাম নোরা লাছলাব। তাঁর বয়.স ২৫ বছর। নোরার পাল্টা অভিযোগ, তাঁদের দুই বোনকে কেন বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়া হল তা তাঁরা আন্দাজ করতে পারছেন না। নোরার আরও অভিযোগ, শুধুমাত্র প্রৌঢ়র পাশে বসে থাকার জন্য এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ তাঁদের সঙ্গে অন্যায় করেছে। যদিও, ট্রান্সাভিয়া বিমানসংস্থা জানিয়েছে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছিল ওই দুই ডাচ মরোক্কান যুবতীর জন্য। মাঝআকাশে বিমানের মধ্যে পরিস্থিতি অশান্ত করা এবং মারপিট করার জন্য চার জনকেই চিরজীবনের জন্য ব্যান করেছে ট্রান্সাভিয়া বিমান সংস্থা।
এর ফলে ওই চার জন ভিয়েনা থেকে ট্রান্সাভিয়ার অন্য কোনও উড়ানে উঠতে পারবেতন না। তাঁদের অন্য কোনও বিমানের টিকিট কাটতে হবে। ট্রান্সাভিয়ার এই সিদ্ধান্ত কতটা সঠিক তা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বহু মানুষ ট্রান্সাভিয়ার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন।
বহুক্ষেত্রে দেখা যায় নানা শারীরিক অসুবিধার জন্য অনেকের বাতকর্ম হয়। এর জন্য ওই ব্যক্তিকে বিমানে উঠতে না দেওয়ার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করা যায় না বলে অনেকে মতামত ব্যক্ত করেছেন। যদিও, ট্রান্সাভিয়ার দাবি, ওই দুই তরুণী অন্যদের উদ্দেশে অশ্লীল মন্তব্য করেছিলেন। যার জেরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল।