কৈলাসের সঙ্গে যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত মালালা
চলতি বছরের ১০ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে নরওয়ের অসলোতে এই পুরস্কার মালালার হাতে তুলে দেবে নোবেল কমিটি। প্রসঙ্গত, শান্তিতে নোবেল পুরস্কার একমাত্র অসলোতে প্রদান করা হয়। বাকি ক্ষেত্র অর্থাৎ সাহিত্য, পদার্থবিদ্যা, চিকিৎসাশাস্ত্র ইত্যাদিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয় সুইডেনের স্টকহোমে।
আরও পড়ুন: নোবেল পুরস্কার পেলেন ভারতের কৈলাস সত্যার্থী
তালিবানদের মুক্তাঞ্চল পাকিস্তানের স্বাত জেলার মিঙ্গোরা শহরের মেয়ে মালাল ইউসুফজাই। ১৯৯৭ সালের ১২ জুলাই জন্ম এই সাহসিনীর। বেশি কিছু জীবনে চায়নি মালালা। শুধু চেয়েছিল একটু লেখাপড়া করতে। পৃথিবীকে জানতে। কিন্তু তালিবানদের ফতোয়া ছিল, মেয়েরা লেখাপড়া শিখতে পারবে না। জঙ্গিদের হুমকির মুখে যখন স্বাত জেলার অনেক মেয়েই লেখাপড়া ছেড়ে দিচ্ছে, তখন রুখে দাঁড়িয়েছিল মালালা। বদলা নিতে ২০১২ সালের ৯ অক্টোবর বিকেলে তার ওপর হামলা চালায় তালিবান জঙ্গিরা। একদম সামনে থেকে তিন-তিনটি গুলি চালানো হয়। গুরুতর জখম মালালা মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই চালিয়ে সুস্থ হয়। এখন সে ব্রিটেনের বার্মিংহামের বাসিন্দা।
নোবেল পাওয়ার আগে বিভিন্ন পুরস্কার পেয়েছে এই লড়াকু কিশোরী। আব্দুস সালামের পর মালালা হল দ্বিতীয় পাকিস্তানি যার ঝুলিতে গেল নোবেল পুরস্কার। ১৯৭৯ সালে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেয়েছিলেন পাকিস্তানি বিজ্ঞানী আব্দুস সালাম।